ভিতরে

কুমিল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেতুতে টোল আদায়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে

॥ কামাল আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), : ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায়ে সরকারের ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় দ্রুতগতির লেন ব্যবহার করে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে গোমতী ও মেঘনা  সেতুতে এসব স্বয়ংক্রিয় টোল প্লাজা থেকে গত ১ মাসে টোল আদায় হয়েছে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৩ টাকা।
চালকরা বলছেন, ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতিতে সেতুর টোল আদায়ের কারণে টোল প্লাজায় কোন প্রকার যানজট থাকছে না। এ পদ্ধতিটি চালু হওয়ায় তারা দিন-রাত সড়কে যানজট মুক্ত নির্বিঘেœ চলাচাল করতে পারছেন বলে জানান।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত টোলের টাকা পরিশোধ করতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতি সেতুতে স্মার্টকার্ডভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি চালু আছে। এ পদ্ধতিতে সেতুগুলোর টোল আদায় কার্যক্রম সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী, ইটিসি লেন ব্যবহার করে মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় ৭ হাজার ৫৭৬ যানবাহন থেকে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৩ টাকার টোল আদায় করা হয়।
টোল আদায়ের ডিজিটাল পদ্ধতি সবচেয়ে যুগোপযোগী হিসেবে অভিহিত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এ পদ্ধতি অনুসরণ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি গাড়ির টোল সংগ্রহ করা যায়। আমাদের দেশে বড় সেতুগুলোর টোলপ্লাজার যানজট ছাড়াও  জ্বালানি সাশ্রয়, টোল সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয়, মহাসড়কের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যানবাহনের ধোঁয়া নির্গমন কমিয়ে পরিবেশ দূষণের মাত্রা হ্রাস করতে এ পদ্ধতিটি চালু করা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে ইটিসি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হলো- এ পদ্ধতিতে টোল দিতে গাড়িচালকদের নগদ অর্থ সঙ্গে রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি)পদ্ধতি ব্যবহারকারী সোহাগ পরিবহনের চালক তোফায়েল আহমেদ বাসসকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল আদায়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হওয়ায় আমরা নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছি। এতে চলাচলে যেমন সময় বাঁচছে, তেমনি জ¦ালানি তেলেও সাশ্রয়ী হচ্ছে।
জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। পরে গত ৩০ মে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব ফাহমিদা হক খানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে ১ জুন থেকে এ ছাড় কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ইটিসি লেন ব্যবহারে ১০ শতাংশ ছাড় মিলছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (টোল ও এক্সেল) উপ-সচিব ফাহমিদা হক খান বলেন, গত ১ জুন থেকে ছাড় কার্যকর করার পর থেকে দ্রুতগতির লেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। জনসাধারণকে এ লেন ও ইটিসি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছি। সবার মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েছি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি, টিভিতে স্ক্রলও দিচ্ছি। দ্রুতগতির লেন ব্যবহার করলে টোলের ওপর সরকার ১০ শতাংশ ছাড় দেবে। তাছাড়া, যেহেতু এ লেনে টোল পরিশোধের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না সেহেতু প্রচারণা চালু রাখলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে আশা করছি।
এ পদ্ধতি চালু করতে এ মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল গাড়িগুলোকে একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস সংগ্রহ করতে হবে। এসব ডিভাইস আবার যে কোনো একটি ব্যাংক হিসেবের সঙ্গেও সংযুক্ত থাকবে। ফলে গাড়ি যখন টোল প্লাজা অতিক্রম করবে তখন টোল প্লাজায় স্থাপন করা ইলেকট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় হবে। এ পদ্ধতিতে গাড়িগুলোকে টোল প্লাজায় থামতে হবে না। যেসব গাড়ি এ পদ্ধতিতে আসতে ডিভাইস সংগ্রহ করবে সেগুলোর জন্য বিশেষ সেবা চালু থাকবে। থাকবে বিশেষ লেন। এ ছাড়া ডিভাইস যুক্ত গাড়িগুলোকে টোলের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

গোপালগঞ্জের দেবোগ্রাম আশ্রয়ণে অন্ধত্ব মোচন কার্যক্রম শুরু

গোপালগঞ্জে হস্তশিল্পে আশ্রয়ণের নারীদের কর্মসংস্থান