ভিতরে

বরিশালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ

জেলার প্রতিটি পর্যায়ে সমভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহত্তর বরিশালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ন্যাশনাল পাওয়ার ট্র্যান্সমিশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, গ্রীড ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, অর্থ্যায়নে কেএফডব্লিউ, পাওয়ার গ্রীড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনথেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি (জি টু জি), পটুয়াখালী (পায়রা)- গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ, অর্থ্যায়নে এডিবি, বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েবিলিটি এন্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, অর্থ্যায়নে বিশ্ব ব্যাংক, বাকেরগঞ্জ-বরগুনা ১৩২ কেভি সঞ্চালন এবং বরগুনা ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয ট্রান্সমিশন গ্রীড সম্প্রসারণ প্রকল্প, স্ট্রেনদেনিং পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রজেক্ট, ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্প, ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন প্রকল্প, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ (ওজোপাডিকো) এলাকার জন্য স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রকল্প, পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ, বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, জেলার ৮টি উপজেলায় ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বরিশালে (উ:) ১৩২/৩৩ কিলোভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চালু করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের কলাডেমা এলাকায় ১৩ দশমিক ৪ একর জমিতে প্রায় ৩৩ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপকেন্দ্রে ৪৮০/১২০ এমভিত্র. ১৩২/৩৩ কেভি ক্ষমতার ২টি ট্রান্সফরমার বে এবং ৮টি ৩৩ কেভি ফিডার বে স্থাপন করা হয়েছে।
এ ব্যপারে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার ( ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, গুণগত ও মানসম্পন্ন এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কাজ করছে। এছাড়াও লোড শেডিং ও লো-ভোল্টেজ সমস্যা দূর করতে কাজ।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল ওজোপাডিকো, পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এখন বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ রক্ষা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ সরবরাহে যথাযথভাবে সামাল দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পশ্চিমের উন্নত দেশের আদলে গড়ে উঠবে। নতুন দিনের এসব চ্যালেঞ্জ নিতে বিদ্যুৎ বিভাগ তৈরি। 
তিনি আরো বলেন, এখন আমরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ওপর জোর দিচ্ছি। যেমন স্মার্ট প্রিপেইড মিটার, স্মার্ট গ্রিড ও আন্ডার গ্রাউন্ড পাওয়ার সিসেটেম ইত্যাদি। গোটা ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন করা গেলে সাধারণ  মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভারি বর্ষণে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নড়াইলে এস.এম সুলতান চারুকলা কলেজে ভবন উদ্বোধন করলেন মাশরাফি এমপি