ভিতরে

কুমিল্লায় ফুটপাতে ফুলের টবে দৃষ্টিনন্দন বাগান

নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠের সামনের সড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতেন কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকার। বিভিন্ন সময়ে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও ফের দখল হতো ফুটপাত। এতে পথচারীদের পথ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। ইট পাথরের নগরীতে সবুজ ছড়িয়ে যাক সবার প্রান্তে এ স্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কর্তৃক নগরীকে গ্রিন সিটি করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঐ স্থানের ফুটপাতের সীমানার লোহার গ্রিলে নানা রঙের প্লাস্টিকের টবে নানা জাতের পাঁচ শতাধিক ফুলের গাছ স্থাপন করা হয়। এতে পুরো এলাকা দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লার ঐতিহ্যের শতবর্ষের প্রাচীন টাউন হলে প্রবেশের প্রধান ফটকের পূর্ব ও পশ্চিমাংশে সড়কের পাশের লোহার গ্রিলের মধ্যে প্লাস্টিক বোতলকে পুনর্ব্যবহার করে নানা জাতের পাঁচ শতাধিক ফুল ও সৌন্দর্য বর্ধক পাতাবাহার গাছ লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি বোতলে রঙ করা হয়। ফুটপাতে চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। জানা যায়, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউন হল মাঠের দক্ষিণ পাশে সড়কের লোহার গ্রিলসংলগ্ন ফুটপাতের কাপড়, চা-পান, ফুচকাসহ অবৈধ বিভিন্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। ফুটপাতে পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ভলান্টিয়ার্স ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি), গ্রিন স্বদেশ ও গার্ডেন লাভার্স বাংলাদেশের কর্মীদের সহযোগিতায় নানা জাতের ফুলের গাছ প্লাস্টিকের রঙিন টবে ঝুলিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাগান করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. মো. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুমিল্লা নগরীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এবং ফুটপাত থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে সিটি মেয়রকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছিল। অবশেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। টাউন হল এলাকায় রঙিন প্লাস্টিকের বোতলে ফুলের টব স্থাপন ও নানা জাতের গাছ লাগানোর কারণে দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এমন উদ্যোগের ফলে পুষ্পমেলায় বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হবে নগরবাসী।
নগরের সব এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে এ ধরনের কাজ করা হলে নগর এলাকা গ্রিন সিটিতে পরিণত হবে। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কুমিল্লা সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে নানা জাতের ফুলের টব স্থাপন ও গাছ লাগানোর কারণে নগরীর সৌন্দর্য অনেক বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে পর্যায়ক্রমে নগরীর সব এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে একটি গ্রিন সিটি গড়ে তোলা হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জয়পুরহাটে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনকে ঘিরে উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে

ভোলায় হরিণ শাবক বনে অবমুক্ত