ভিতরে

ওমান পৌঁছেছে টাইগাররা

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে অবশেষে আজ ওমানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
ঘূর্ণিঝড় শাহীন দেশে আঘাত হানার পর ওমানের শহর মাস্কাটে বাংলাদেশের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো।
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর রাত ১টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশ দল।
দেশ ছাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বাংলাদেশ দল সময়মতই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলো। অনিশ্চয়তা দূর হবার পর যাত্রা শুরু করে এবং আজ সকালে ওমান পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।  মাস্কাটে টিম হোটেলে নিরাপদে পৌঁছায় তাদের।
কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর ১৪ জন ক্রিকেটারসহ ২১ সদস্যের একটি দল ওমানের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১২ জন ক্রিকেটার ছাড়াও পেসার রুবেল হোসেন এবং লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামও দলের সাথে আছেন। তারা শুধুমাত্র মাস্কাটে ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহন করবেন।
চারদিন আগে সস্ত্রীক মাস্কাটে গিয়েছেন ওপেনার লিটন দাস। বর্তমানে আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ৯ অক্টোবর আবু ধাবিতে দলের সাথে যোগ দিবেন তারা।
এখন একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে বাংলাদেশ দল। দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচের জন্য দুবাইয়ে যাবার আগে আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু করবে তারা। শ্রীলংকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ১২ ও ১৪ অক্টোবর দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে আবারো ওমানে আসবে টাইগাররা। গ্রুপ ‘বি’তে যৌথ আয়োজক ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে তারা।
বাছাই পর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড-যৌথ আয়োজক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে মাহমুদুল্লাহর দল। এরপর ১৯ ও ২১ অক্টোবর ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে লড়বে তারা।
প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে পারলে সুপার ১২তে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। তখন আবারো আরব আমিরাত যাবে টাইগাররা।
টাইগাররা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ২৫ টি ম্যাচ খেলেছে এবং মাত্র পাঁচটিতে জিতেছে। এর মধ্যে বাছাই পর্ব থেকেই চারটি জয় এসেছে। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তারা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম পোস্টার বয় মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটিং নৈপুন্যে জিতেছিলো টাইগাররা। ২৭ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যেখানে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন আফতাব আহমেদও। ৪৯ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৬২ রান করেছিলেন তিনি।
ঐতিহাসিক  সেই জয়ের পর ধারাবাহিকতা ছিলো না বাংলাদেশের। ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬র আসরে জয়হীন ছিলো টাইগাররা।
এবার দলের দায়িত্ব মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে। সাথে থাকছে এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার এবং সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান এবং লিটন দাসের অভিজ্ঞদের মিশ্রন। যে কোন পরিস্থিতিতে যেকোন দলকে হারানো লক্ষ্য বাংলাদেশের। কিন্তু তারপরও এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে স্পোর্টিং উইকেটে তাদের ভালো খেলার সামর্থ্য একেবারেই প্রশ্নবিদ্ধ।
বাংলাদেশ দল : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ।
স্ট্যান্ড-বাই : রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বিদেশে গোপনে বিনিয়োগের অভিযোগ টেন্ডুলকারের বিরুদ্ধে

শক্তিশালী ভারতকে রুখে দিল ১০ জনের বাংলাদেশ