চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনায় নতুন কওে ৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। জেলায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ছাড়া অবশিষ্ট দশ ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৪১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ জন ও পাঁচ উপজেলার ২১ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৭২৯ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৯৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বাঁশখালীতে সর্বোচ্চ ১৭ জন এবং বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ার ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের ১ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩০৪ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২০ জন ও গ্রামের ৫৮৪ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে আরোগ্যলাভ করেন নতুন ২৩ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮৫৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৬ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৭৬ হাজার ২৭০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে যুক্ত হন ১০৪ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৬৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৮১৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ ও গ্রামের ১ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৬৪ নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের ২ টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৯১ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে নগরীর ৬ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩ টি নমুনার একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৫৯ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৪ টি এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ এবং ল্যাব এইডে ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটির রেজাল্টও পজিটিভ আসেনি।
চট্টগ্রামের ১০৯ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় বাঁশখালী উপজেলার ১৭ টি রিপোর্ট পজিটিভ ও বাকী উপজেলার অবশিষ্ট নমুনার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১২ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ৬৬, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ৫০, আরটিআরএল-এ ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ১ দশমিক ১১, মেডিকেল সেন্টারে ১১ দশমিক ১১, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৫৯ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও ল্যাব এইডে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
ভিতরে স্বাস্থ্য
চট্টগ্রামে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু
