ভিতরে

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা সফল হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের সকল যোগ্যতা লাভ করেছে। 
বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা সফল হবে বলেও তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলা পৃথিবীর মধুরতম ভাষা হিসেবে এখন প্রতিষ্ঠিত এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাঙালি তার জাতীয়তাবোধ এবং জাতিসত্ত্বা এমনভাবে ধারণ করেছে,যার জন্য সারা পৃথিবী কেবল স্বীকৃতিই দেয়নি বরং নিখাদ জাতিসত্ত্বার কারণে বাংলাদেশকে বিশ^বাসী সম্মানও করে। 
মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার রাতে রাজধনীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে সাহিত্য সংগঠন পূর্ব-পশ্চিম আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কবি আসাদ মান্নান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি শেখ রবিউল হক,অধ্যাপক রসা চক্রবর্তী এবং সংবর্ধিত কবি, তাঁর স্ত্রী ও পুত্র বক্তৃতা করেন। 
মন্ত্রী কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার কর্ম ও জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘যেখানে বাংলা ভাষা, সেখানেই বাংলাদেশ’ বন্ধু কবি নূরুল হুদার এই উক্তির মধ্য দিয়ে বাংলা ও বাঙালির প্রতি তার গভীর ভালবাসারই বহি:প্রকাশ ঘটেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাভাষাকে এক অনন্য উচ্চতায় উপণীত করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৭ বার বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ব সভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। 
তিনি বলেন,‘এবার জাতিসংঘে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর দাবি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের’। 
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক  মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ইন্টারনেট ডোমেইনকে ডট বাংলা ডোমেইনে পরিণত করাসহ প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাভাষা সকল দিক থেকেই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলা মূদ্রণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হতো না বলেও তিনি জানান।
১৯৬৮ সাল থেকে কবি নূরুল হুদার সাথে বন্ধুত্বের প্রসংগ তুলে ধরেটেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, নূরুল হুদার বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব প্রপ্তি একাডেমীর কর্মকান্ডকে আরও শাণিত করবে। তিনি কবির সাথে মেধাস্বত্ত্ব নিয়ে একসাথে কাজ করার মধুর অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাংলা ভাষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

চট্টগ্রামের ১২ উপজেলায় করোনা রোগি নেই

তথ্যমন্ত্রীকে টিভি চ্যানেল মালিক ও সাংবাদিকদের অভিনন্দন