ভিতরে

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দল ভালো করতে বদ্ধপরিকর : ডোমিঙ্গো

যেহেতু ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ, তাই আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ভালো পারফর্ম করতে চায় টাইগাররা। সিরিজটি আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে  এ পর্যন্ত  মাত্র ৪টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে অসিদের বিপক্ষে খেলেছিলো টাইগাররা। যেকোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটিই সব কম ম্যাচ বাংলাদেশের । সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা।
সিরিজের সবগুলো ম্যাচই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব বেশি ভেন্যু পরিবর্তন করতে চায় না সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানান, সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করার পাশাপাশি দুবাই এবং ওমানে হওয়া আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে  জন্য সঠিক সমন্বয় খুঁজে বের করার সুযোগ থাকছে।
আজ দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের সেরা কম্বিনেশন খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ, আমাদের সেই সুযোগ করে দিবে। এটি দেখার দু’টি উপায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেরা কম্বিনেশন খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং কিছু তরুণ খেলোয়াড়ের উন্নতি ঘটাতে চাই। দ্বিতীয়ত, অস্ট্রেলিয়ার সাথে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়না  বাংলাদেশ। তাই এটি আমাদের জন্য একটি বড় সিরিজ এবং আমরা ভালো খেলার জন্য বদ্ধপরিকর।’
ডোমিঙ্গো জানান, সাধারণত বাংলাদেশের উইকেট স্পিনারদের অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে। ঘরের কন্ডিশনে নিজেদের শক্তির কথা মাথায় রেখেই খেলে থাকে। তবে এবার আর উইকেটকে তাদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করবে না বাংলাদেশ।
তিনি আরও জানান, টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা বিবেচনা করে দলের স্পিনারদের সুবিধা না দিয়ে ভালো উইকেটে খেলতে চান।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো উইকেটে খেলতে যাচ্ছি এবং এতে কোন সন্দেহ নেই, এখানকার কন্ডিশন বিদেশের মাটিতে খেলার চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী হবে এবং এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। ভালো উইকেটে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলার যোগ্য হতে হবে কারন আমরা বিশ্বকাপ খেলবো এবং সেটি দেশের বাইরে হবে এবং আমি নিশ্চিত, আমরা সিরিজে আমরা ভালো একটি উইকেটে পেতে যাচ্ছি।’
প্রথম সারির অনেক খেলোয়াড়কে দলে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ থেকে সড়ে দাঁড়ান তারা। কিন্তু নিজেদের টি-টুয়েন্টি রেকর্ডের কারনে সিরিজে বাংলাদেশকে ফেভারিট ভাবা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১০২টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে ৩৪টি জয় ও ৬৬টি ম্যাচে হেরেছে তারা। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
কিন্তু এই পরিসংখ্যানের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে ডোমিঙ্গো জানান, মিডিয়া প্রায়ই বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি দলকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদনগুলো খুবই হতাশাজনক এবং আপনারা কেন বলছেন, এটি খুব ভাল টি-টুয়েন্টি দল নয়। আমি মনে করি, আমরা খুবই ভালো খেলোয়াড় পেয়েছি এবং আমি নিশ্চিত যে উন্নতির জায়গা আছে, কিন্তু আমি মনে করি আমরা একটি ভাল টি-টুয়েন্টি দল হবার উপাদান আছে।’
ডোমিঙ্গো আরও বলেন, ‘আমি জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মতো শারীরিকভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য নেই। কিন্তু আমরা আমাদের দলে কিছু দক্ষ ব্যাটসম্যান পেয়েছি। আমি মিডিয়াকে দল সম্পর্কে কিছুটা ইতিবাচক কথা বলছি কারণ সব সময় নেতিবাচক মন্তব্য থাকে এবং মাঝে মাঝে এটি কমেও যায়। আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত নই এবং আমি মনে করি না, আমরা খারাপ টি-টুয়েন্টি দল এবং মনে করি আমরা বেশ কিছু অসাধারণ টি-টুয়েন্টি খেলোয়াড় পেয়েছি এবং যদি তাদের সমর্থন করা হয় এবং পাশে থাকা যায় এবং তাদের ব্যাপারে আরও বেশি ইতিবাচকতা থাকা যায়, তবে তাদের বিবেচনা করতে বাধ্য করা হবে।’
সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ডোমিঙ্গো। তবে বিশ্বের সেরা দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড দলে থাকায় অস্ট্রেলিয়াকে শক্তিশালী ভালো হচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কোচ ডোমিঙ্গো শেষে জানান, স্টার্ক এবং হ্যাজলউড মানুষ এবং তারাও খারাপ বল করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘মিচেল স্টার্ক এবং হ্যাজলউড মানসম্পন্ন বোলার এবং আমরা তাদের খেলার কিছু ফুটেজ দেখেছি কিন্তু দিন শেষে আপনি বলটিকে খেলবেন,  মানুষটি নয়। দিনের শেষে তারা মানুষ এবং কিছু খারাপ বলও করবে। আমাদের ইতিবাচক  মানসিকতা  এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে খেলতে হবে, আমাদের খারাপ বলগুলো খেলতে হবে।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

অলিম্পিক টেনিসের মহিলা দ্বৈতের স্বর্ণ জয করলেন চেক তারকা ক্রেজিকোভা ও সিনিয়াকোভা

চীনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য ডেল্টা ধরণকে দায়ী