ভিতরে

অলিম্পিক থেকে বিদায় নিলেও দেশকে গর্বিত করেছেন দিয়া

টোকিও অলিম্পিক থেকে রোমান সানার পর বীরের মতই বিদায় নিয়েছেন দিয়া সিদ্দিকীও। দুইজনেরই থেকে গেল এক পয়েন্টের আক্ষেপ। নকআউট পর্বে একজনকে তো হারতেই হবে; ম্যাচ শেষে হারলেন দিয়া।  কিন্তু বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১২৪ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন লড়াই, পুরো বিশ্বকেই জানান দিয়েছে নীলফামারীর কিশোরী তীরন্দাজের সামর্থ্যের।
দিয়া সিদ্দিকী এই অলিম্পিক থেকে যে অভিজ্ঞতা নিলেন, তা অবশ্যই কাজে আসবে আগামীতে। মোটা দাগে লিখলে এটাতো বাংলাদেশের আরচাররির  ‘নতুন শুরু’।
প্রথম সেট জিতলেও শুরুটা ভালো ছিল না দিয়া সিদ্দিকীর। প্রথম তীরে স্কোর করেন ৬। তবে বেলারুশের আরচার মাত্র ৪ স্কোর করায় প্রথম সেটটা দিয়া জিতে নেন ২৩-২২ পয়েন্টে। শেষ দুই তীরে দিয়া স্কোর করেছিলেন ৯ ও ৮।
দ্বিতীয় সেটও হয় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দিয়ার ৯, ৭, ৯ স্কোরের বিপরীতে কারইয়ানা করেন ৯, ৮, ৯। ২৬-২৫ পয়েন্টে জিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসেন কারইয়ানা। তৃতীয় সেট ২৫-২৫ পয়েন্টে শেষ হলে পয়েন্ট দাঁড়ায় ৩-৩।
চতুর্থ সেটে ২৭-২৫ এ হেরে যান দিয়া। ৫-৩ সেট পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন বাংলার তীরন্দাজ। তবে পঞ্চম সেট ২৭-২৫ এ জিতে টাই করেন দিয়া সিদ্দিকী। তখন খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয় শ্যুট অফে।
একুট করে তীর ছোড়ার পালা। নিষ্পত্তি হয়ে যায় প্রথম তীরেই। বেলারুশের কারইয়ানা ১০ স্কোর করলেও দিয়া করেন ৯। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে ৬-৫ সেট পয়েন্টে।
পুরুষ রিকার্ভে রোমান সানা ব্রিটেনকে হারিয়ে শেষ ষোলতে ওঠার লড়াইয়ে হেরে যান। দিয়া সিদ্দিকী বিদায় নিলেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। তবে গেমস আরচারিতে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলাই উপহার দিয়েছেন তিনি।
দিয়া সিদ্দিকীর হারের মধ্যে দিয়ে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের ৬ ক্রীড়াবিদের ৩ জনের বিদায় হলো। সবার আগে বিদায় নিয়েছিলেন শ্যুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। পরে রোমান সানা ও দিয়া।
গেমসে এখন থাকলেন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি-সাঁতারে আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ এবং অ্যাথলেটিকসে জহির রায়হান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতল চীন

জিম্বাবুয়ে জয় করে দেশে ফিরলেন টাইগাররা