ভিতরে

কঠোর বিধিনিষেধের ৬ষ্ঠ দিন : আইন অমান্য করায় অনেকেই গুণছেন জরিমানা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। 
চলমান বিধিনিষেধের আজ ষষ্ঠ দিনে রাজধানীতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যান চলাচল। সব সড়কেই আছে অনেক রিকশাও। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই চলাচল করছেন। মানুষ সড়কে আসার পর নানা অজুহাত দিচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যারা সড়কে অহেতুক ঘোরাফেরা করছেন তাদেরকে আমরা জরিমানা ও গ্রেফতার করছি।
বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেট, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, বাসাবো ও যাত্রাবাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সড়কে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বেশি। মূল সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতেও মানুষের অবাধ চলাফেরা করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের মুখে  নেই মাস্ক। 
জনসাধারণের অযাচিত ঘোরাফেরা বন্ধ করতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 
রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো: কবির হোসেন বাসসকে বলেন, ‘রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকে বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন। আমরা এমন  ক্ষেত্রে জরিমানা করছি। আবার  কেউ  কেউ বিভিন্ন অজুহাত  দেখাচ্ছেন। তবে জরুরি  সেবায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা অবাধে চলাচল করতে পারছেন।’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা  থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।
বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা,  কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও  বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে  দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে  বের হওয়াও নিষেধ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে আরো ৬ ব্যক্তির মৃত্যু

জয়ের নেতৃত্বের অপেক্ষায় আগামীর বাংলাদেশ : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী