ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত আরো ৮৪৮

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন ৮৪৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট ও চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে গতকাল রোববার ২ হাজার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে আরো ৮৪৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৮০ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ২৬৮ জন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৭ হাজার ৫৮৯ জন ও গ্রামের ১৮ হাজার ৭৩৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় সর্বোচ্চ ৪৩ জন, বোয়ালখালীতে ৩৮ জন, সন্দ্বীপে ৩৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩২ জন, চন্দনাইশে ৩০ জন, সীতাকু-ে ১৭ জন, লোহাগাড়ায় ১৬ জন, ফটিকছড়িতে ১৪ জন, মিরসরাইয়ে ১২ জন, হাটহাজারীতে ১০ জন, বাঁশখালীতে ৯ জন, সাতকানিয়ায় ৭ জন, রাউজানে ৪ জন ও আনোয়ারায় ৩ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ৪ জন ও গ্রামের ৮ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৮৯৭ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৫৪৭ জন ও গ্রামের ৩৫০ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৮৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪৪৬ জনে উন্নীত হয়েছে।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৫৮৪ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৬ হাজার ৮৬২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৬৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৫৮৭ জন।
উল্লেখ্য, এদিকে, গতকাল ১২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম পঁচিশ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯০ জনে। গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসের প্রথম ২৫ দিনে মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১১৫, ৮০ ও ৫২ জন। গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম ভাইরাসবাহক শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়ে ১৩ জুলাই, ১ হাজার ৩ জন। সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ২৪ জুলাই, ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। করোনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি ১৫ রোগীর মৃত্যু হয় ১৯ জুলাই। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের নেতিবাচক তিন মাত্রায়ই এ মাসে রেকর্ড হয়েছে।  
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১ হাজার ৪৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করে শহরের ১৪১ ও গ্রামের ২০৩ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৩৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৯৭ জন ও গ্রামের ২১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫০ ও গ্রামের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৮২ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪০ ও গ্রামের ৯ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩২২ টি নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ৬৬ ও গ্রামের ১৯ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৪৬ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৫ টিসহ ৬৫ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ১২০ টি নমুনায় গ্রামের ৫ টিসহ ৭৩ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৬৫ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৩১ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৬ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ টিসহ ৩০ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩২ দশমিক ৯৫ শতাংশ, চমেকে ৪৯ দশমিক ৫৮, বিআইটিআইডি’তে ৪৪ দশমিক ৫৪, আরটিআরএল-এ ৫৯ দশমিক ৭৫, শেভরনে ২৬ দশমিক ৪০, ইম্পেরিয়ালে ২৬ দশমিক ৪২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৬০ দশমিক ৮৩, মেডিকেল সেন্টারে ৪৭ দশমিক ৬৯ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৫ দশমিক ২২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল

ত্রিশাল আওয়ামী লীগ নেতার ইন্তেকাল