ভিতরে

সৌদি প্রবাসী আমিনুল মেহেরপুরের নিজ গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স দিলেন

যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহনের কারণে অনেক সময় রোগীরা হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে মারা যায়। তাদের কথা চিন্তা করে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে সৌদি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম আমিন গ্রামবাসীর চিকিৎসায় একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিলেন। গ্রামের যেকোনো রোগীই হাসপাতালে যেতে বিনামূল্যে ব্যবহার করবে প্রবাসীর দেওয়া উপহারের এ অ্যাম্বুলেন্স। একই সাথে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও জ¦ালানিরও ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমিনুল ইসলাম।
 রোববার দুপুরে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গ্রামের মসজিদের ইমাম ও মাতবরদের হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ও অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে মুগ্ধ এলাকার মানুষ। এমন মানবিক উপহার সংকট মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
চাবি হস্তান্তরকালীন সময়ে সৌদি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন- মেহেরপুর সদর থেকে আমাদের গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অটোভ্যানে যেতে অনেক সময় লাগে। দ্রুত হাসপাতালে না পৌঁছাতে পেরে অনেক রোগীর পথেই মৃত্যু হয়। গ্রাম থেকে দূরের কোনো হাসপাতালে যেতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয়। তাও আবার সঠিক সময়ে পাওয়া মুশকিল।  যা এলাকার আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের পক্ষে খরচ মেটানো সম্ভব হয় না। গ্রামবাসীরা একটি কমিটির মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সটি পরিচালনা করবে। 
তিনি আরো বলেন, আমি গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামের মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার এ উপহার অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
গ্রামের যুবক মাসুদ রানা বলেন- আমাদের গ্রামের ছেলে আমিনুল ইসলাম আমিন তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন। তিনি সৌদি আরবে গিয়ে সাবলম্বী হন। করোনাকালীন দুর্যোগ মুহূর্তের কথা চিন্তা করে একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেন। তার এ উপহার সময় উপযোগী হিসেবে এলাকার সব মানুষের দুঃসময়ে উপকারে আসবে।
মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন- অনেক দরিদ্র মানুষ আছে, যারা আর্থিক সংকটে জরুরিভাবে হাসপাতালে যেতে পারে না। আমিনুলের দেওয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্স এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পাবে।  
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. সজিব উদ্দিন স্বাধীন বলেন- সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক মানুষই প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে, বিশেষ করে স্ট্রোকজনিত। রোগীর ক্ষেত্রে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোগী পরিবহনে আমিনুল ইসলাম গ্রামবাসীদর জন্য ভালো একটি কাজ করছেন, যা এলাকার সব মানুষের মানবিক কাজে আসবে। 
পিরোজপুর ইউপি সদস্য আরমান আলী বলেন- করোনাকালীন কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে খুব কষ্টের মধ্যে পড়ে রোগীর পরিবার। আমিনুল ইসলাম দূর থেকে বিষয়টি উপলব্ধি করে মহৎ কাজটি করছেন, তা অবশ্যই ভালো কাজ। প্রতিটি গ্রামে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স থাকলে মানুষের আর কষ্ট থাকবে না।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো নিশো-মেহজাবীনের নাটক!

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি