ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনাকালে সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু

করোনাকালে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৯২৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। একই সাথে জেলায় মোট আক্রান্ত ৭২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। 
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রামের ৯ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৯২৫ জনের মধ্যে  শহরের বাসিন্দা ৫৫৩ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ৩৭২ জন। 
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৮০ জন, হাটহাজারীতে ৬৮ জন, ফটিকছড়িতে  ৪৭ জন, পটিয়ায় ২৯ জন, আনোয়ারায় ২৫ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৪ জন, লোহাগাড়া ও সীতাকু-ে ১৭ জন করে, সন্দ্বীপে ১৬ জন, চন্দনাইশে ১৫ জন, মিরসরাইয়ে ১৪ জন, বাঁশখালীতে ১০ জন, বোয়ালখালীতে ৭ জন এবং সাতকানিয়ায় ৩ জন রয়েছেন। 
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭২ হাজার ৫৯২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৫ হাজার ৮২ জন ও গ্রামের ১৭ হাজার ৫১০ জন। 
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৫ জন ও গ্রামের ১০ জন মৃত্যুবরণ করেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৮৫৬ জনে দাড়ালো। এতে শহরের বাসিন্দা ৫২৬ জন ও গ্রামের ৩৩০ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৬৭ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৭৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৩৩২ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৫৪৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৬৮ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২৪২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৯০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে আরও জানানো হয়, গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম ভাইরাসবাহক শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল করোনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি ১৫ রোগীর মৃত্যু হয়। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয় ১০ জুলাই, ১৪ জন। এদিন নতুন ৭০৯ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়ে ১৩ জুলাই, ১ হাজার ৩ জন। সংক্রমণের হার ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এদিন করোনায় মৃত্যুবরণ করেন ১০ জন। একদিনের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার ধরা পড়ে ১১ জুলাই, ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এদিন নতুন ৮২১ জন পজিটিভ শনাক্ত ও ৯ রোগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, গতকাল ১৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম ঊনিশ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪৯ জনে। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল ৭৩৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৭১ জন ও গ্রামের ১৬৯ জনকে করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯৯ ও গ্রামের ৪৭ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭৪টি ও গ্রামের ৫৯ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৭৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫৩ ও গ্রামের ৬০ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনায় শহরের ৫৫ জন ও গ্রামের ৭ জন সংক্রমিত বলে শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩২ ও গ্রামের ৪ টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫২ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৬ টিসহ ৭২ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬১ টি নমুনায় গ্রামের ৪ টিসহ ৩৩ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৪০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ১৪ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫১ নমুনায় শহরের ৬১ ও গ্রামের ১৩ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। 
চট্টগ্রামের ৮ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের দু’টির পজিটিভ ও বাকী ৬ টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এদিন অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, এন্টিজেন টেস্টে ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৪ দশমিক ২৫, চবি’তে ৪৬ দশমিক ০২, সিভাসু’তে ৪২ দশমিক ০১, চমেকে ৩৫ দশমিক ০৩, আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়ালে ৪৭ দশমিক ৩৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৪ দশমিক ১০, মেডিকেল সেন্টারে ৩৫ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৯ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ২৫ শতাংশ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছে : জাহাঙ্গীর কবির নানক

ঈদে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার