ভিতরে

ওয়ান-ইলেভেনে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কন্ঠরোধ করা : নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কন্ঠরোধ করে  দেয়া। জনগণের অধিকার হরণের একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। 
আজ রোববার বিকেলে  ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই আলেচনা সভার আয়োজন করে। 
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করছেন তা হলো জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। যখন তিনি জনগণের দারপ্রান্তে, ঠিক সেই মুহূর্তে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা এবং দলের অভ্যন্তরীণ সুবিধাবাদী উচ্চবিলাসী একটি গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের বিজয়কে ব্যাহত করেতে ওয়ান ইলেভেন ঘটায়। 
তিনি বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসে তখন বিএনপি বলেছিল ভ্যাকসিন তারা দিবে না। ভ্যাকসিনের মধ্যেও তারা অপপ্রচার চালিয়ে ছিল। একদিকে তাদের নেত্রী দন্ডিত বেগম খালেদা জিয়াও ভ্যাকসিন দেয়, অন্যদিকে তাদের নেতারা ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা করে। আসলে বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে। 
নানক বলেন, যখন করোনার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা একফোঁটা চাল দিয়েও কাউকে সহযোগিতা করেননি। 
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন,  ওয়ান-ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনাকে যারা কারাবন্দি করেছিল এবং এর পিছনে যারা নীল নকশা এঁকেছেন, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। দেশ-বিদেশে তারা যেখানেই থাকুক না কেন দেশের শান্তি এবং গণতন্ত্র রক্ষার্থে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। 
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশের গণতন্ত্রকে মাইনাস করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে সেই নীল নকশাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়া হোক। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও  সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও বক্তব্য রাখেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার পুনরায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হলেন

মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যবসায়ী নেতাসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে : মেয়র আতিক