ভিতরে

চট্রগ্রামে কোরবানির পশু জবাইয়ে চসিকের ৩০৪ স্থান নির্ধারণ

কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৩০৪ টি স্থান নির্ধারণ করেছে। এসব স্থানকে পশু কোরবানি এবং কোরবানিদাতাদের অবস্থানের উপযোগী করে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বাসস’কে জানান, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের সুবিধা অনুযায়ী একাধিক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে চার থেকে পাঁচটিও স্থান পড়েছে। এসব স্থানে ত্রিপল টাঙ্গানো হবে। পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি স্থানে আমাদের নিযুক্ত ইমাম সাহেব থাকবেন। এছাড়া, কোরবানিদাতার বসার ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ এবং ব্লিচিং পাউডার মজুদ থাকবে। এসব স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য সিসিসি’র পক্ষ থেকে নগরবাসীর প্রতি  তিনি আহ্বান জানান।’
মোবারক আলী আরো বলেন, ‘পশুর বর্জ্য অপসারণে ৩৩০ টি ট্রাক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ৩ হাজার ৬ শত পরিচ্ছন্ন কর্মী, চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। চার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলররা কঠোর নজরদারিতে থাকবেন। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে চসিকের সুনাম রয়েছে। আপনাদের সকলের আন্তরিকতার কারণে এই সুনাম অর্জিত হয়েছে। আমি চাই এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। এতে পর্যাপ্ত জনবল, ওয়ার্কিটকি, গাড়ি, কন্টেইনার মুভার ও টমটমসহ যা যা প্রয়োজন সবধরণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোন অজুহাত আমরা শুনব না।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল বারেক, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এসরারুল হক, মো. ইলিয়াছ ও চসিক উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী।   
জানা যায়, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন চসিকের দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে, যার নম্বর ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯। নগরীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে। মেয়র জবাইকৃত পশুর চামড়া বিক্রি না হলে তা যত্রতত্র ফেলে না রেখে প্রত্যেক মহল্লায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখার আহ্বান জানান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট
উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

জয়পুরহাটে জেলা আধুনিক হাসপাতাল ২৫০ বেডে উন্নীতকরণ কাজ এগিয়ে চলছে

শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল