ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় ৫ রোগীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৬শ’

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৬০০ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। 
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও চট্টগ্রামের নয়টি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৯৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৬০০ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৪৭ জন এবং ১২ উপজেলার ১৫৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু-ে সর্বোচ্চ ৩০ জন, রাউজানে ২৮ জন, হাটহাজারী ও আনোয়ারায় ২২ জন করে, মিরসরাইয়ে ২১ জন, ফটিকছড়িতে ১১ জন,  বোয়ালথালীতে ৮ জন, বাঁশখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন করে, লোহাগাড়া ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৯ হাজার ৯৫৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৩ হাজার ৩২২ জন ও গ্রামের ১৬ হাজার ৬৩৫ জন।
গতকাল করোনায় শহরের তিন ও গ্রামের দুই রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৮২৪ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৫১৫ জন ও গ্রামের ৩০৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৪৬ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫২ হাজার ১১১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৭ হাজার ১৭৬ জন এবং ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৪ হাজার ৯৩৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৫২ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২২৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৪ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল ৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম ষোল দিনে চট্টগ্রামে ১১৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। গেল এপ্রিল, মে ও জুন মাসের প্রথম ১৬ দিনে যথাক্রমে ৬৩, ৫৮ ও ২৮ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ জন মারা যান গত ১০ জুলাই। এর আগ পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল ১১ জনের মৃত্যুই ছিল সবচেয়ে বেশি। এ মাসে সর্বনি¤œ আক্রান্ত শনাক্ত হন ২ জুলাই ২৬২ জন।  সংক্রমণ হার ছিল ২৫ শতাংশ। এ সময়ে একজনের মৃত্যু হয়। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১৩ ও গ্রামের ৪৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৩০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪৮ ও গ্রামের ২৪ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭২ ও গ্রামের ৪৭ টি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮২ জনের নমুনায় গ্রামের ৮ জনসহ ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ৩ টিসহ ১৫ টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬১ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫৩ ও গ্রামের ১৪ টি, শেভরনে ২৪১ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৭ টিসহ ৭০ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৩ টি নমুনায় গ্রামের ৫ টিসহ ২৮ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ২৯ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১৩ টিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ  আসে। 
তবে এদিন এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি এবং পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, সিভাসু’তে ৩১ দশমিক ৩০, চবিতে ৬২ দশমিক ৩০, চমেকে ৩১ দশমিক ৮৭, আরটিআরএলে ৫৭ দশমিক ৬৯, ইম্পেরিয়ালে ২৫ দশমিক ৬৭, শেভরনে ২৯ দশমিক ০৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫২ দশমিক ৮৩, মেডিকেল সেন্টারে ৪৪ দশমিক ৮৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত

রোববার ও সোমবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইকোর্টে ফাইলিং এফিডেভিড চলবে