ভিতরে

লিটনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২৭৬/৯

লিটন দাসের  সেঞ্চুরিতে  তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করেছে  বাংলাদেশ  ক্রিকেট দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে  ১১৪ বল মোকাবেলায় মাত্র ৮ বাউন্ডারিতে  ১০২ রান  করেন  লিটন। এ  নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ এবং  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে  তৃতীয়  সেঞ্চুরি করলেন এ ওপেনিং ব্যাটসম্যান।  তার অপর সেঞ্চুরিটি ছিল  এশিয়া কাপ ফাইনালে  ভারতের বিপক্ষে। 
চলমান জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে লিটনের  ক্যারিয়ার সেরা ৯৫ রানের ইনিংসটি  বাংলাদেশের জয়ের জয়ে মুখ্য ভুমিকা  রেখেছিল। 
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। তবে টাইগারদের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি।  শুরুতেই মুজারাবানির বলে কোনো রান না করেই ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করা টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এর মাধ্যমে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক হয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৯তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হয়েছেন তামিম। যা বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড।
এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতদিন ধরে তামিম ইকবাল ও হাবিবুল বাশার সুমনের সমান ১৮টি ডাক ছিল। এছাড়া তিন ফরম্যাট মিলে সমান ৩৩টি করে ডাক ছিল তামিম ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়ে দুইটি রেকর্ড থেকেই বাশার ও মাশরাফীকে মুক্তি দিয়েছেন তামিম। তিন ফরম্যাট মিলে তামিমের শূন্যের সংখ্যা এখন ৩৪টি।
ওয়ান ডাউনে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ভালো শুরুর  ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তামিম বধের নায়ক সেই মুজারাবানির বলে কাট শট খেলতে গিয়ে রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ২৫ বলে ১৯ রান করা সাকিব।
দুই উইকেট যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। বলের সঙ্গে তাল রেখেই রান করছিলেন তিনি। তবে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি মিথুনও। টেন্ডাই চাতারার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটসম্যান।
দলে দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে জায়গা পাকা করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। গারাভার বলে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৫ রান করেন সৈকত।
দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর লিটন-রিয়াদ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনে মিলে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। বাংলাদেশ যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায়, তখনই আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
লুক জঙ্গের স্লোয়ার বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ।  ৫২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন সাইলেন্ট কিলারখ্যাত এই অলরাউন্ডার।
এর কিছুক্ষণ পর মাধেভেরের বলে  ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করেন এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা লিটন দাস। ৭৮ বলে ফিফটির পর থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন এ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর সেঞ্চুরি পূরণে খেলেন মাত্র ৩২ বল।  
তবে সেঞ্চুরিকে বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি লিটন। শতকের পরপরই গারাভার বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। 
শেষদিকে ক্রিজে ঝড় তোলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। হাফ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা দেখা দিলেও ৩৫ বলে ৪৫ রানে আউট হন তিনি। পরপর দুই বলে আফিফ ও মিরাজকে ফেরান জঙ্গে। তার হ্যাটট্রিকের সুযোগ পাওয়া বলে রান আউট হন তাসকিন আহমেদও।
শেষদিকে ৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের হয়ে জঙ্গে ৩টি, গারাভা ও মুজারাবানি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আর্জেন্টিনায় করোনায় এক লাখ ছাড়িয়েছে

লিটন-সাকিব নৈপুন্যে জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ