জেলার চৌদ্দগ্রামে আল আকসা গরুর খামারে রয়েছে ২৫ মণ ওজনের একটি ফ্রিজিয়ান গরু। খামারের উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম শিমুল ৩ বছর ৬ মাস পূর্বে আনা গরুটির নাম দিয়েছেন কালু। ধারণা করা হচ্ছে চৌদ্দগ্রামে এবারে কালুই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় গরু। এবারের ঈদুল আযহার বাজারে গরুটির ১২ লাখ টাকা মুল্য হাকিয়েছেন উদ্যোক্তা শহিদুল।
ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর। গরুটি দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভীড় বাড়ছে চৌদ্দগ্রামের কনকাপৈত ইউনিয়নের জাগজুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম শিমুলের খামার আল আকসায়। খামারটিতে উল্লেখিত ২টি গরু ছাড়াও আরও বিভিন্ন জাতের ৩৫টি গরু রয়েছে। সবগুলো গরুই আসন্ন কুরবানীর ঈদের বাজারে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন খামারী শিমুল।
তরুণ উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম শিমুল বাসসকে বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের কালু গরুটিকে অত্যন্ত যতœসহকারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হয়েছে। সুষম খাদ্যের সংকট পূরণে খামার এবং এর পাশে বিপুল পরিমাণ ঘাসের চাষাবাদ করা হয়েছে। চাষের ঘাস ছাড়াও প্রতিদিন ভুট্টা, খৈল, ভূষি এবং মুশরি ও বুটের ডালের কন্নি খাওয়ানো হয় কালুকে। গড়ে প্রতিদিন ১৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে গরুটির লালন-পালনে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মজিবুর রহমান বাসসকে জানান, এবারের ঈদুল আযহায় চৌদ্দগ্রামে ৩৬টি স্থানে গবাদি পশুর হাট বসবে। ভারতীয় গরু না আসলে খামারিরা তাদের গরুগুলো ভাল দামে বিক্রি করতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম মনজুরুল হক বাসসকে জানান, প্রতিটা গরু বাজারে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। পশু ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আমরা যথাযথভাবে নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করেছি।
ভিতরে আঞ্চলিক
একটি মন্তব্য