ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত নতুন ৮০২

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮০২ জন আক্রান্ত  হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৩১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এদিন করোনায় আক্রান্ত ৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ মোট আটটি ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৮০২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫২ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ৩৫০ জন। 
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৯ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫২ হাজার ৮৭৫ জন ও গ্রামের ১৬ হাজার ৪৮২ জন। 
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৭৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৭ জন, ফটিকছড়িতে ৩৯ জন, রাউজানে ৩৩ জন, মিরসরাইয়ে ৩০ জন, পটিয়ায় ২৬ জন, সন্দ্বীপে ১৯ জন, বোয়ালখালীতে ১৬ জন, চন্দনাইশে ১৫ জন, বাঁশখালীতে ১৪ জন, সীতাকু-ে ১৩ জন, সাতকানিয়ায় ১১ জন, লোহাগাড়ায় ৮ জন এবং আনোয়ারায় ৩ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের ৯ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৮১৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৫১২ জন ও গ্রামের ৩০৭ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৪৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৬৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ১৩০ জন, ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৩৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ৩৯১ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৬৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৯৬৩ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম পনেরো দিনে চট্টগ্রামে ১১২ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। গেল জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনে ২৬ জন ও মে মাসের পনেরো দিনে ৫৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ জন মারা যান গত ১০ জুলাই। এর আগ পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল ১১ জনের মৃত্যুই ছিল সবচেয়ে বেশি।  
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল ১ হাজার ৬৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ১০৯ জন ও গ্রামের ২৪২ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। 
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০৯ জন ও গ্রামের ১৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। 
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪৮ টি নমুনায় শহরের ৪১ ও গ্রামের ৪৯ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। 
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৯৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৭ জনসহ ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৯ ও গ্রামের ২১ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৭০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৪ ও গ্রামের  ১১ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ৪৩ টি নমুনায় শহরের ২১ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 
চট্টগ্রামের ১২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ  আসে। 
এদিন আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে, এন্টিজেন টেস্টে ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২২ দশমিক ১৪, সিভাসু’তে ৩৬ দশমিক ২৯, চমেকে ৩৩ দশমিক ১৬, চবি’তে ৬২ দশমিক ৫০, শেভরনে ২৪ দশমিক ০৭, মেডিকেল সেন্টারে ৪৮ দশমিক ৮৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত সাভারের চামড়া শিল্প নগরী

পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া নদী বন্দরের আধুনিকায়ন হবে: খালিদ