ভিতরে

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে জন্ম নেয়া অজগরের ২৮ বাচ্চা বনে অবমুক্ত

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে জন্ম নেয়া অজগরের ২৮টি বাচ্চাকে সীতাকু- ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন  জানান, আজ বুধবার সকালে অজগরের বাচ্চাগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় সীতাকুন্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, বন বিভাগের সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকোপার্কের রেঞ্জার মো. আলমগীরসহ সীতাকুন্ড ইকোপার্কের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাখায় আলোর মুখ দেখেছিল ২৮ অজগরের বাচ্চা। বাচ্চাগুলোকে ২২ দিন রক্ষণাবেক্ষণ করার পর অবশেষে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত ২২ জুন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ইনকিউবেটরে জন্ম নেয় এই ২৮টি অজগরের বাচ্চা।
চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব  মো. রুহুল আমিন জানান, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অজগরের ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি বাচ্চা ফুটে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে সময় লেগেছে ৬৭ দিন। বুধবার সকালে বাচ্চাগুলোকে ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও ২০১৯ সালে ২৫টি অজগরকে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল।’
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, ২২ দিন বয়সী বাচ্চাগুলো দুই ফুটের মতো লম্বা হয়েছে। ২০১৯ সালের জুনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার তৈরি ইনকিউবেটরে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়। যা পরে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশে কোনো চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন এর আগে কেউ করেনি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জয়পুরহাটে ইফা’র জাকাত ও অনুদান বিতরণ

করোনা সংক্রমণরোধে বুথ অন্যতম সহায়ক অবলম্বন : চসিক মেয়র