ভিতরে

মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্ক থাকার নির্দেশ

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ অনলাইনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনায় ১০ম আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মশার কোন বর্ডার বা সীমানা নেই। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের আরো বেশি সতর্ক হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
দু’এক জন মানুষের দায়িত্বহীনতার কারণে শহর বা গোটা দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যখন মশা নিধন করা হবে তখন দক্ষিণ সিটি হবে এলাকায় নিধন করতে হবে না অথবা দক্ষিণে মারলে উত্তরে মারতে হবে না, এমনটি ভাবা উচিত নয়।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি-ঘর যারই হোক, আমি-আপনি যেই হই না কেন, আমরা সকলেই এই শহর ও দেশের মানুষ। মশা নিধনে সকলকে নিজের ওপর অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ না করলে সুফল আসবে না।
জেল-জরিমানা করার পরও ওইসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সঙ্গে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে এডিস মশার প্রজননের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুই সিটি কর্পোরেশনে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বেজমেন্ট এবং ছাদে বিভিন্ন জায়গাতে পানি জমা থাকে। আর এখানেই এডিস মশার প্রজনন বেশি হয়। 
যারা ভবন নির্মাণ করছেন অথবা নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন বা যাদের পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে তাদেরকে জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা সামান্য পরিমাণ কেরোসিন ঢেলে দেয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
ডেঙ্গু নিয়ে এখনও আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বিস্তার বা প্রজননের সকল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এডিস, অ্যানোফিলিস বা কিউলিক্স মশা যে মশাই হোক না কেন এগুলো নিধনের জন্য কি করতে হবে তা সকলেরই জানা রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সিভিল এভিয়েশনসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মশকের বিস্তাররোধে নিজ নিজ উদ্যোগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়,বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন নেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বিএসএমএমইউয়ে মুমূর্ষ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা

ডিএনসিসির ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পাশ