ভিতরে

আমচাষীদের রক্ষার্থে ইঞ্জিনিয়ার মাহ্তাব উদ্দিন এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আকুল আবেদন

বৃহত্তর রাজশাহী সমিতি, ঢাকা এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহ্তাব উদ্দিন বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় ঘোষিত কঠোর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীদের রক্ষার্থে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আকুল আবেদন লিখেছেন। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তার নিজের আইডিতে ওই আবেদনটি পোস্ট করেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আম উপহারআমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহসারা দেশের আমচাষী ও ব্যবসায়ীগণ ————————————————————মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামসহ প্রতিবেশী রাজ্যের মূখ্যমন্রীদের আম উপহার দিয়েছেন। আমরা আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাই নবাবগঞ্জবাসী খুব খুশি হয়েছি। আরো খুশি হতাম যদি রংপুরের হাড়িভাংগা আমের সাথে আমাদের জিআই সনদপ্রাপ্ত ক্ষিরশাপাত কিংবা অন্য জাতের আম উপহার সামগ্রীর সাথে অন্তর্ভুক্ত হতো।আম পরিবহণেও আপনি চাঁপাইবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। MANGO TRAIN ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে কম খরচে আমসহ কৃষিপণ্য ঢাকায় আনতে পারি।রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উপহার সামগ্রী হিসাবে আমের অন্তর্ভুক্তি করন ও পরিবহণে MANGO TRAIN চালু করণের জন্যে আপনাকে অন্তর নিংড়ানো শুভেচ্ছা। স্বাধীনতােত্তর বাংলাদেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে খাওয়ানোর জন্যে খাদ্য আমদানি করতে হতো, কিন্তু আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জোর দিয়ে বলতে পারি আবাদি জমি কমা সত্তেও কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে আমদানি না করেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে দু’বেলা খাওয়াতে সক্ষম হচ্ছি। সুখের কথা বাম্পার ফলনের প্রভাব আম উৎপাদনেও পড়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীআম এক সময়ে ALTERNATE CORP ছিল, অর্থাৎ যে গাছে এ বছর আম ধরবে সে গাছে আগামী বছর ধরবে না। কিন্তু কৃষি বিপ্লবের কারণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে এখন একই গাছে প্রতি বছরই আম হচ্ছে। শুধু তাই নয় আমের উৎপাদন এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহত্তর রাজশাহী, রংপুর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর উৎপাদিত আম অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। উন্নত ব্যয় বহুল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাম্পার ফলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষী ও আম ব্যবসায়ীগণ ভাল নেই। বৈশ্বিক মহামারি অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটানি। কোথায় বাম্পার ফলনে আমচাষীগণ সুখের হাসি হাসবে, উল্টো বাম্পার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, দিশেহারা আম ব্যবসায়ীগণও। এমন পরিস্থিতিতে আরো বেশি সরকারি সহযোগিতার অতীব প্রয়োজন। আমাদের রপ্তানি বাজার ধরতে হবে। আমের বহুমুখী ব্যবহারে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে যা দেশের অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে। চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জই প্রতি বছর আম উৎপাদন হয় প্রায় দুই লক্ষ মেট্রিক টন যার বাজার মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা, অপরদিকে রপ্তানি হয় মাত্র ১০০ মেট্রিক টন। রপ্তানি বাজার ও বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যেমনঃ০১আশির শুরুতে গার্মেন্টস শিল্পে যেমনি ভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়ে ছিল ঠিক তেমনি আম রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওযা জরুরি।০২ আমেরিকা /ইউরোপীয় বাজারে পরিবহণে ভূর্তুকি০৩. চাঁপাইতে রপ্তানিযোগ্য প্যাকিং নিশ্চিতকরণ০৪. স্হানীয় ভাবে সঙ্গনিরোধ সনদের ব্যবস্থা০৫ স্হানীয় ভাবে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্যান্টের সুযোগ তৈরি করা।০৬. আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান।০৭. আম নির্ভর শিল্পে কর অবকাশসহ (Tax Holiday) সহজ শর্তে ঋণ প্রদান।০৮. কানসাটসহ দেশে আধুনিক বাজার নির্মাণসহ নানামুখী তৎপরতা।যেমনি ভাবে ধান চাষে একই জমিতে একাধিকবার উৎপাদন ও অধিক ফলন করে দেশের মানুষের আহারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেছে ঠিক তেমনি ভাবে একই গাছে বছরে একাধিকবার আমের উন্নত চাষ করে সারা বছর দেশের মানুষকে আম খাওয়ানো সম্ভব।বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় ঘোষিত কঠোর লকডাউনে আমের বাজার দর তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১৫০০/১৬০০ টাকা মন দরের ফজলি আম বিক্রি হযেছে ৫০০/৬০০ টাকা মন দরে। আপনি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন শিল্পে প্রণোদনা দিয়েছেন, দিশেহারা আমচাষীদের রক্ষার্থে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিবেন ——- সেই আকুল আবেদন করছি।

ইঞ্জিনিয়ার মাহ্তাব উদ্দিন

সভাপতি,

বৃহত্তর রাজশাহী সমিতি, ঢাকা

১২ জুলাই ২০২১ সোমবার।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান এর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে কোপেনহেগেনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ