ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় সবোর্চ্চ ১৪ জনের মৃত্যু

করোনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সবোর্চ্চ ১৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৭০৯ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিন জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার অতিক্রম করে।  
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ নয়টি ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ৭০৯ জন আক্রান্তের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১৬ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ২৯৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকু-ে ৫৪ জন, হাটহাজারীতে ৪৮ জন, মিরসরাইয়ে ৩৩ জন, চন্দনাইশে ২৯ জন, ফটিকছড়িতে ২৩ জন, রাউজানে ১৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮ জন, সন্দ্বীপে ১৬ জন, সাতকানিয়ায় ১৫ জন, পটিয়ায় ১৪ জন, বোয়ালখালীতে ১১ জন, বাঁশখালীতে ৮ জন, লোহাগাড়ায় ৪ জন ও আনোয়ারায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৫ হাজার ৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৫০ হাজার ১৩৪ জন শহরের ও ১৪ হাজার ৮৭৪ জন গ্রামের বাসিন্দা। 
গতকাল করোনায় শহরের ৭ জন ও গ্রামের ৭ জন মারা যান। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৭৭১ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৯৭ জন ও গ্রামের ২৭৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৫১ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৫০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৯৫৫ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৯৯৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৯২ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৮০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৯২ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে ৬৪ করোনা রোগীর মৃত্যু হলো। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর চট্টগ্রামে এটাই একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এর আগে ২৪ এপ্রিল ১১ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল তখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।  
এদিকে, আবারো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার পূর্ণ হয়েছে। আগের দিনও ২৪ ঘণ্টায় হাজারপূর্তি হয়। এবারসহ তিনবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত এক হাজার পূর্ণ হয়। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ১৬ দিনে ১ হাজার পূর্ণ হয় ৩১ জানুয়ারি, ৩৩ হাজার অতিক্রম করাকালে। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৬৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৬১ ও গ্রামের ১৬৩ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬২০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০৬ ও গ্রামের ৭০ টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১০ ও গ্রামের ৩২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৩ টিসহ ৩৬ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। 
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪০ ও গ্রামের ১৩ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯ টি নমুনায় গ্রামের ৩ টিসহ ২১ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ নমুনার মধ্যে শহরের ১৬ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩২ ও গ্রামের ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রামের ৩৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিন জনের পজিটিভ ও অবশিষ্টগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও  ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৩৮, চমেকে ৩৯ দশমিক ৭৭, আরটিআরএলে ৭৩ দশমিক ৪৭, শেভরনে ২৬ দশমিক ১১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪২ দশমিক ৮৬, মেডিকেল সেন্টারে ৫১ দশমিক ৬১, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৫ দশমিক ০৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

প্লিসকোভাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মত উইম্বলডনের শিরোপা জিতলেন এ্যাশলে বার্টি

সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি করার নির্দেশ