ভিতরে

দেশের ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৫০৪ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে

এ পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৫০৪ জন মানুষ করোনা (কোভিড-১৯) টিকার আওতায় এসেছে। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৫ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ জন। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৭৬২ জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ২৫১ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০৪ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩২ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭৮ এবং নারী ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৫৪ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত সারাদেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ জন। এদের মধ্যে ৫০ হাজার ৫৭৩ জন পুরুষ এবং ৪৫৩ হাজার ৩১৪ জন নারী রয়েছেন।  
সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এছাড়া ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৭৬২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৮৬ ও নারী ২ হাজার ৩৭৬ জন। গত ২১ জুলাই এই টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এরপর গত ১ জুলাই থেকে ফাইজারের প্রথম ডোজ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ জন, এরা সবাই পুরুষ।  এছাড়া সারাদেশে আজ ৬৫১ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪১৭ এবং নারী ২৩৪ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ লাখ ২১ হাজার ৬৪৪ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫২ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৮৬ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১১৫ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৪ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৬ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮২৮ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ২০৫ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৯৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আইসিটি বিভাগের এডিপি পর্যালোচনা : আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ

টাঙ্গাইলে ৩০ মণ ওজনের গরু কালো মানিক