ভিতরে

ফাইনালে পৌঁছানোর লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় উচ্ছসিত মানচিনি

স্পেনকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে পরাজিত করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে পৌঁছানোর পর ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি জানিয়েছেন তার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। 
মানচিনির অধীনে গত তিন বছরে দারুনভাবে নিজেকের পরিবর্তিত করেছে আজ্জুরিরা। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হওয়া দলটি এরপর থেকে মানচিনির নেতৃত্বে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। 
স্পেনের বিপক্ষে দারুন লড়াইয়ের মাধ্যমে ইতালি ফাইনালের টিকিট পেয়েছে। ফেডেরিকো চিয়েসার গোলে ৬০ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি। এরপর ৮০ মিনিটে আলভারো মোরাতার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্পেন। অতিরিক্ত সময়ে কোন গাল না হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী হয়ে ১৯৬৮ সালের পর দ্বিতীয় ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ের হাতছানি এখন ইতালির সামনে। 
গ্রুপ পর্বে তুরষ্ক, সুইজারল্যান্ড ও ওয়েলসের বিপক্ষে সাত গোল দেবার পর একটি গোলও হজম করেনি ইতালি। এরপর নক আউট পর্বে অস্টিয়ার সাথে অতিরিক্ত সময়ে ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে যোগ্য দল হিসেবেই জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করেছিল মানচিনির শিষ্যরা। যদিও বেলজিয়ামের বিপক্ষে দলের রক্ষনভাগের মূল ভরসা লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলাকে ইনজুরির কারনে হারাতে হয়েছে।
কাল ম্যাচ শেষে মানচিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে খেলার আবহটাই ভিন্ন। এসব আসরে সবসময়ই এমন দিন আসবে যেখানে বিদায়ের ক্ষন গুনতে হতে পারে। এবার অবশ্য আমরা যোগ্য দল হিসেবেই এতদুর এসেছি। এখন শুধু শেষ ম্যাচের লড়াই। আমরা জানি ফাইনাল ম্যাচটি মোটেই সহজ হবে না। এ দিনটির জন্যই গত তিন তিন বছর যাবত খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণই তাদের। কারন আমি জানতাম বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া একটি দলকে ফিরিয়ে আনাটা কতটা কঠিন। প্রায় সবাই মনে করেছিল আমরা কখনই এটা করতে পারবো না। ইতালিয়ানদেও সন্তুষ্ট করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।‘
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সুইডেনের কাছে পরাজিত হয়ে হতাশাজনক বিদায় নিতে হয়েছিল ইতালিয়ানদের। সেখান থেকে দলকে এ পর্যন্ত টেনে তুলেছেন মানচিনি। পরিপূর্ণ একটি দল নিয়েই মানচিনি ইউরোতে খেলতে এসেছিলেন। অভিজ্ঞ দুই সেন্টার-ব্যাক গিওর্গিও চিয়েলিনি ও লিওনার্দো বনুচ্চির সাথে এ্যাটাকিং ফুল-ব্যাক ও মধ্যমাঠের ট্রায়ো মার্কো ভেরাত্তি, জর্জিনহো ও নিকোলো বারেলা দারুন ছন্দে রয়েছেন। মানচিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা চেয়েছিল এমন কিছু ম্যাচ উপহার দেয়া যা সকলে উপভোগ করবে এবং তারা ঠিকই সেটা করে দেখিয়েছে।’
এনিয়ে ১০ম বারের মত বৈশ্বিক কোন টুর্ণামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ইতালি। এর মধ্যে বিশ্বাকাপে ছয়বার ও ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে আগে তিনটি ফাইনালে খেলেছে আজ্জুরিরা। এর মধ্যে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে চারবার। কিন্তু ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়শীপের একমাত্র শিরোপাটি এসেছিল ১৯৬৮ সালে। এরপর দুটি ফাইনালে তারা পরাজিত হয়েছে। ২০০ সালে রটারডামে ফ্রান্সের কাছে অতিরিক্ত সময়ের গোল্ডেন গোলে এবং ২০১২ সালে কিয়েভে স্পেনের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়েছিল ইতালি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

নাটকীয় ম্যাচে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

ইন্টার মিলান থেকে হাকিমিকে দলে নিল পিএসজি