ভিতরে

সিলেটে ৩ দিনে করোনা টিকা নিবন্ধন করেছেন ৮৪৬ জন প্রবাসী

করোনার টিকা নিতে সিলেটে বিগত ৩দিনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮৪৬ জন প্রবাসী। 
টিকা নিতে অগ্রাধিকার পাওয়ার লক্ষ্যে চালু হওয়া “আমি প্রবাসী” অ্যাপসের মাধ্যমে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের তত্বাবধানে প্রবাসীদের টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। বিগত ২ জুলাই শুক্রবার থেকে সিলেট সহ দেশের অন্যান্যস্থানেও এ একার্যক্রম চালু করে সরকার। 
আজ রবিবার এ একার্যক্রমে ৩য় দিন অতিবাহিত হয়েছে।
এতে সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি সিলেটের আঞ্চলিক অফিসে ছিলো বিদেশগামী কর্মীদের উপচে পড়া ভীড়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় থাকলেও ভোর বেলা থেকে সেখানে বিদেশগামী টিকা প্রত্যাশীদের লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 
সিলেটে বিগত ৩দিনে মোট ৮৪৬ জন এমআরপি ও ই পাসপোর্টধারী প্রবাসী টিকা নিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথমদিনে ২৫ জন,দ্বিতীয় দিনে ৩৬৪ জন ও তৃতীয় দিনে ৪৫৭ জন প্রবাসী এ নিবন্ধনের আওতায় এসেছেন বলে রবিবার বিকেলে বাসস’কে জানিয়েছেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সিলেট এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মাহফুজ-উল আদিব। 
তিনি বলেন, স্বাস্হ্যবিধি মেনে সরকারী নির্দেশনানুযায়ি যথাযথভাবে আমরা প্রবাসীদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আগামী কয়েকদিন এর চাপ একটু বেশি থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,এর ফলে প্রবাসীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা গ্রহণ করে তারা নিজ নিজ কর্মস্হলে অর্থাৎ প্রবাসে চলে যেতে পারবেন। এতে প্রবাসীরা এখন টিকা নিয়ে তাদের উৎকন্ঠা অনেকটা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা। এ নিবন্ধনে ফি হিসেবে প্রবাসীদেরকে ২২০ টাকা করে নির্ধারিত সরকারী মোবাইল নম্বরে বিকাশ পেমেন্ট দিতে হচ্ছে। করোনার টিকা ছাড়া কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে গিয়ে বিদেশের মাঠিতে জনপ্রতি তাদেরকে বড় অংকের একটি টাকা গুনতে হবে। তাই বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে দেশের মাটিতে বিনামূল্যে টিকা নেয়ার সুযোগ করে দেওয়া তারা অনেক বেশি খুশি হয়েছেন বলে জানান নিবন্ধনকারী অনেক প্রবাসীরা। 
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বিকাশ পেমেন্ট করে আবেদনকারী প্রত্যেকে সরসারি উপস্থিত থেকে ওই কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এতে অন্য কেহকে দিয়ে কাগজ জমা দেয়া বা নেয়ার কোন সুযোগ এখানে নাই। সচেতন অনেক প্রবাসীরা নিজে নিজেই টাকা পেমেন্ট দিচ্ছেন। এতে ভোগান্তি ও খরচ উভয় কমেছে। যাদের পাসপার্ট ও ভিসা আছে শুধু তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই থেকে চালু হওয়া সিলেটসহ দেশের ৪২টি জনশক্তি অফিস, ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১টি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অথবা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটির এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে গমন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকল্পে বয়স প্রমার্জন ও অগ্রাধিকার পাওয়ার লক্ষ্যে যেসব কর্মীর বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধন ও স্মার্ট কার্ড নেই অথবা চলতি বছরের গত ১ জানুয়ারির পূর্বের বিএমইটির স্মার্ট কার্ড আছে সে সব কর্মীর টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের সুবিধার্থে বৈধ পাসপোর্ট দিয়ে ২ জুলাই থেকে বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধন করতে হবে। 
তবে আগামী জানুয়ারি থেকে নিবন্ধিত কর্মীদের নতুনভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির লক্ষ্যে সুরক্ষা এপস বা িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ এর মাধ্যমে জরুরিভাবে টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ংঁৎড়শশযধ অঢ়ঢ় এ রেজিস্ট্রেশন সফল হলে মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকা সেন্টার ও টিকার তারিখ জানা যাবে। এ সংক্রান্ত মেসেজ না পাওয়া পযন্ত— সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভোলায় চারজনের কারাদন্ড ও ৬১ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

অন-লাইন পশুর হাট ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের একটি মাইল ফলক : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী