ভিতরে

ইকুয়েডরকে হারিয়ে কোপার সেমিতে আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা। শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার ) অনুষ্ঠিত ম্যাচে ক্যারিয়ারের ৭৬তম আন্তর্জাতিক গোল করেছেন লিওনেল মেসি। এর ফলে দক্ষিন আমেরিকা অঞ্চলে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক গোল দাতার তালিকায় এখন শুধু মাত্র মেসির উপরে রয়েছেন কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে।
ম্যাচে প্রথমে দুই গোলের সুযোগ তৈরি করে দেয়া মেসি শেষ ভাগে চোখ ধাঁধানো এক ফ্রি কিক থেকে গোল করেন। এতেই উজ্জল হতে থাকে দেশের হয়ে তার বড় কোন শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। 
এই জয়ে সেমি ফাইনালে আগামী মঙ্গলবার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে কলম্বিয়ার মোকাবেলা করবে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে পরাজিত করেছে। টুর্নামেন্টের অপর সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। 
শনিবার গোয়ানিয়ার অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৪০তম মিনিটে  গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন রড্রিগো ডি পল।  ৮৪তম মিনিটে পোস্টের বেশ কাছে  বল পেয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন লওটারো মার্টিনেজ। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দুটি গোলেই বলের যোগান দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পর এটি ছিল তার প্রথম ম্যাচ। খেলার ইনজুরি টাইমে (৯০+৩ মি.) ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক গোল করেন মেসি নিজে। এটি ছিল টুর্নামেন্টে মেসির চতুর্থ গোল। ফলে ৩-০ গোলে জয়লাভ করে আর্জেন্টিনা।
খেলা শেষে মেসি বলেন,‘ বাস্তবতা হচ্ছে এটি ছিল বেশ কঠিন একটি ম্যাচ। আমরা জানি ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলাটা কত কঠিন। তারা যেমন পরিশ্রমী, তেমনি দ্রুতগতির। দলটির তরুন খেলোয়াড়রা শারিরিকভাবেও বেশ শক্তিশালী। দ্বিতীয় গোল না দেয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হয়েছে।’
প্রথমার্ধে ১-০গোলে এগিয়ে যাবার পরও ফেভারিট আর্জেন্টিনা গোলের বেশ কটি সুয্গো নস্ট করেছে। বিররতির পর মার্টিনেজের দ্বিতীয় গোলের আগে আর্জেন্টাইন বক্সে বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে এঞ্জেল ডি মারিয়া সতীর্থ জিওবানি ল চেলসোর পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে আসার পর আরো বেশী প্রভাবশালী হয়ে উঠেন মেসি।
ম্যাচের শেষভাগে ইকুয়েডর হারায় তাদের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনকাপিয়েকে। ডি মারিয়াকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ওই ঘটনায় ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। যেখান থেকে গোল করেন মেসি। 
তিনি বলেন, টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে খেলাটা ছিল আসরে আসার আগে আর্জেন্টিনার প্রাথমিক লক্ষ্য।  
ছয়বারের ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ী এই তারকা আরো বলেন,‘ এখন আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে হবে এবং কলম্বিয়াকে নিয়ে ভাবতে হবে। তারা বেশ ভাল ভাবে প্রতিরোধ করতে পারে। সেই সঙ্গে প্রতিআক্রমনে উঠে যায় ক্ষীপ্র গতিতে।’ 
মার্টিনেজ বলেন,‘ আমরা সবাই মেসির নেতৃত্বকে অনুসরণ করি। আজ আমরা আরেকবার দেখলাম কিভাবে তিনি পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। আমরা সবাই তাকে অনুসরণ করেছি। আমরা আর্জেন্টিনাকে দেখলাম নায়ক চরিত্রে। আজ আমরা পার্থক্য বুঝিয়ে দিয়েছি। এটি ছিল সময়ের দাবীদদার একটি ম্যাচ।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউরোর সেমিফাইনালের লাইন-আপ

টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে হারিয়ে কোপার সেমিতে কলম্বিয়া