ভিতরে

ইউরো ২০২০ : চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে ডেনমার্ক

ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে ড্যানিশদের রূপকথার গল্প যেন শেষই হচ্ছেনা। শনিবার বাকুতে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ২৯ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডেনমার্ক। মঙ্গলবার ওয়েম্বলিতে শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ ফেবারিট ইংল্যান্ড। 
থমাস ডিলানি ও কাসপার ডোলবার্গের প্রথমার্ধের দুই গোলই কাসপার হালমান্ডের দলের সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছিল। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত পারফরমেন্স উপহার দিয়ে চেক প্রজাতন্ত্র প্যাট্রিক শিকের কল্যাণে এক গোল পরিশোধ করে। টুর্নামেন্টে এটি শিকের পঞ্চম গোল। প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে টুর্ণামেন্ট শুরু করা ডেনসরা শেষ তিনটি ম্যাচে জয়ী হতে এনিয়ে ১০ গোল দিয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ম্যাচেই দলের মূল ভরসরা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের অসুস্থতার খবর কারোনই অজানা নয়। 
১৯৯২ সালে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের একমাত্র শিরোপা পাওয়া ডেনমার্ক এখন আরো একটি সফল টুর্ণামেন্ট শেষ হবার স্বপ্ন বুনছে। আর সেই স্বপ্নের শুরুতে ইন্টার মিলান মিডফিল্ডার এরিকসেন প্রাথমিক বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেও এখন তিনিই হয়ে উঠেছেন দলের মূল প্রেরণা। এরিকসেনের জন্যই যেন ড্যানিশরা প্রতিদিন মাঠে নামে এবং প্রতিটি জয় ছিনিয়ে নেয়। 
কোপেনহেগেনে ঘরের মাঠে গ্রুপের তিনটি ম্যাচ খেলার পর গত সপ্তাহে শেষ ১৬’র লড়াইয়ে ওয়েলসকে এ্যামাস্টারডামে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ডেনমার্ক। কালও সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডেনসরা মাঠে নেমেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের পাঁচ মিনিটে জেনস স্ট্রাইগার লারসেনের কর্ণার থেকে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়ানো ডেলানি দলকে এগিয়ে দেন। মিকেল ডামসগার্ডের একটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে ডেনমার্কের ব্যবধান দ্বিগুন করতে দেননি চেক গোলরক্ষক টমাস ভাক্লিক। কিন্তু এরপরপই চেকরা কিছু সময়ের জন্য ম্যাচে ফিরে আসে। কাসপার সিমিচেল দুবার টমাস হোলসকে প্রতিরোধ না করলে চেকরা হয়ত তখনই এগিয়ে যেতে পারতো। ডামসগার্ডের আরো একটি শক্তিশালী প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে আরো একবার চেকদের রক্ষা করেন ভাক্লিক। কিন্তু বিরতির তিন মিনিট আগে আর পেরে উঠেননি সেভিয়ার এই গোলরক্ষক। জোয়াকিম মাহেলের ক্রসে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান ডোলবার্গ। 
চেক বস জারোস্লাভ শিলহাভি বিরতির পর দুটি পরিবর্তন করে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টার করেন। জ্যাকুব জানকো ও মাইকেল ক্রেমেনসিককে নামিয়ে মধ্যমাঠ ও আক্রনমভাগকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন শিলহাভি। মাঠে নেমেই ক্রেমেনচিকের শট কোনমতে রুখে দেন শিমিচেল। এরপর লিস্টারের এই গোলরক্ষক এন্টোনিন বারাবের শট আটকে চেকদের হতাশ করেন। ৪৯ মিনিটে ভøাদিমির কুফালের ক্রসে শিক গোল করলে চাপে পড়ে ডেনমার্ক। এই গোলের মাধ্যমে শিক ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সাথে পাঁচ গোল করে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এরপর দু‘দলই বেশ কিছু আক্রমন করলেও গোলের দেখা পায়নি। বদলী খেলোয়াড় ইউসুফ পোলসেনকে দুবার রুখে দিযে ভাক্লিক ব্যবধান বাড়তে দেননি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউরো ২০২০ : ইউক্রেনকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

ইউরোর সেমিফাইনালের লাইন-আপ