ভিতরে

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহবান বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অভিভাবকসহ সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আজ উপাচার্যের কার্যালয়ে স্কুল ছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে  এ আহবান জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজে বোঝা না থেকে সমাজের মূল স্রোতাধারার অংশ হিসেবে জনসম্পদে পরিণত হচ্ছে।এসব  শ্রবণ প্রতিবন্ধী  শিশুদের সময়মতো সার্জারি করলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে তারা ফিরে যেতে পারে। 
তিনি বলেন,এই বিশ্ববিদ্যালয়ে  শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেবা চালু রয়েছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এখানে বিনামূল্যে প্রদান করছে। 
জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমসহ অভিভাববককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে  বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচীর পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, এখানে আজ ৩ জুলাই পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু। 
তিনি জানান, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরী। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন। অপূর্ব চক্রবর্তী বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড ॥ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ

দেশের ১৯ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদ ও নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত