ভিতরে

চট্টগ্রামে ২৬২ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ। এ সময়ে একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার আটটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৬২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ১৯৭ ও ১১ উপজেলার ৬৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ মিরসরাইয়ে ১৮, সীতাকু-ে ১৩, রাঙ্গুনিয়ায় ১২, হাটহাজারীতে ৭, ফটিকছড়িতে ৫, রাউজানে ৩, পটিয়া ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৯ হাজার ৯৯৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪৬ হাজার ৭৪৪ ও গ্রামের ১৩ হাজার ২৫৫ জন। 
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭১১ জন। এতে শহরের ৪৭৯ ও গ্রামের ২৩২ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৭৪৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৫৯৬ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় আরোগ্যলাভ করেন ৪৩ হাজার ১৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৪৫ জন। ছাড়পত্র নেন ১০২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৫৫৭ জন।
উল্লেখ্য, চলতি জুলাই মাসের প্রথম দিন ৪ করোনা রোগীর মৃত্যু হলেও গতকাল একজন মারা যান। সংক্রমণের সংখ্যা ও হার আগের দিনের তুলনায় কমেছে। পহেলা জুলাই ৪২১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমেণর হার ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৭ ও গ্রামের ২৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৫টি নমুনায় শহরের ১৮ ও গ্রামের ২৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১১৩ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ জনসহ ৩৫ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১১ জন ও গ্রামের ৩ জন করোনা শনাক্ত হন।  
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২৬ ও গ্রামের ৬টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮০টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৩৭টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ৪টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করলে একটিতে করোনা শনাক্ত হয়। 
এদিন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, এপিক হেলথ কেয়ার ও এন্টিজেন টেস্টে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, সিভাসু’তে ২৮ দশমিক ২৭, চমেকে ৩০ দশমিক ৯৭, চবিতে ৩৫ দশমিক ৯০, শেভরনে ২০ দশমিক ৩৮, ইম্পেরিয়ালে ৪৬ দশমিক ২৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৫ এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

টাঙ্গাইলের কালীহাতীতে অ্যাম্বুলেন্স-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নারীসহ পাঁচজন নিহত

হাইকোর্টের নির্দেশে বগুড়ায় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকট সমাধানের উদ্যোগ