ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৪২১ জন

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪২১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত ৪ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে  আরও বলা হয়, নগরীর আটটি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৪২১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮৪ জন ও তেরো উপজেলার ১৩৭ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ জন সীতাকু-ে।
এছাড়া, মিরসরাইয়ে ৩০ জন, হাটহাজারীতে ১৬ জন, রাউজানে ১৫ জন, ফটিকছড়িতে ১৪ জন, আনোয়ারায় ৮ জন,  রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, সন্দ্বীপ ও পটিয়ায় ৩ জন করে, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং বাঁশখালী ও চন্দনাইশে একজন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৬ হাজার ৫৪৭ জন ও গ্রামের ১৩ হাজার ১৯০ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের ২ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭১০ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৭৯ জন ও গ্রামের ২৩১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৪ জন। ফলে  করোনায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৬০৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৫৬১ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৪৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৮১ জন ও ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৫২২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৭ ও গ্রামের ৫৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫৬ ও গ্রামের ১৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৭ টি নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ১৭ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৪ ও গ্রামের ২০ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৩ নমুনায় শহরের ১২ ও গ্রামের ৭ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৪ টির এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৭ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬০ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৪৩ ও গ্রামের ৬ টি, শেভরনে ১২২ নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ৩ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ টি নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ৪ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৬৪ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৪ ও গ্রামের একটি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৯ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩ ও গ্রামের ৩ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ৩৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চমেকে ৩৬ দশমিক ৭০, সিভাসু’তে ২৪ দশমিক ৮২, চবিতে ৫০ শতাংশ, আরটিআরএলে ৮২ দশমিক ৬১, এন্টিজেন টেস্টে ২৯ দশমিক ১৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০ দশমিক ৬২, শেভরনে ১১ দশমিক ৪৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫১ দশমিক ২২, মেডিকেল সেন্টারে ২৩ দশমিক ৪৪ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বাগেরহাটে ২৬ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

শাহজালালে ১৪ পিস সোনার বারসহ এক যাএী আটক