ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ ৫৫২ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ ৫৫২ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ৫ জন মারা গেছে । জেলায় মোট আক্রান্ত ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর দশ ল্যাব, এন্টিজেন টেস্ট ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৫৫২ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৯৬ জন ও বারো উপজেলার ১৫৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৩৬ জন, সীতাকু-ে ৩০ জন, মিরসরাইয়ে ২১ জন, রাউজানে ১৪ জন, ফটিকছড়িতে  ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১২ জন, বোয়ালখালীতে ৮ জন, লোহাগাড়ায় ৬ জন, আনোয়ারায় ৫ জন, পটিয়া ও চন্দনাইশে ৪ জন করে এবং বাঁশখালীতে ৩ জন রয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৯ হাজার ৩১৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৬ হাজার ২৬৩ জন ও গ্রামের ১৩ হাজার ৫৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৩ জন ও গ্রামের ২ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭০৬ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৭৭ জন ও গ্রামের ২২৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩১ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৪৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৫৩২ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪২ হাজার ৯৩২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৪৪ জন ও ছাড়পত্র নেন ৬৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৩৪ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ভাইরাসবাহক শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল শনাক্ত জীবাণুবাহকের সংখ্যা এ পর্যন্ত একদিনের সর্বোচ্চ। এর আগে, ১১ এপ্রিল ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন, যা ছিল উক্ত সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গতকাল ৫ রোগীর মৃত্যুতে গেল জুন মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮৪ জন হয়েছে। মৃত্যুশূন্য ছিল তিনদিন। করোনার চলমান প্রকোপে সবচেয়ে বেশি, ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ২৯ জুন। এদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। এখানে ৫০৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮৭ ও গ্রামের ৫৩ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৬ ও গ্রামের ৪১ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৯৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪৮ জন ও গ্রামের ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৬ ও গ্রামের ১৪ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। ১০৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৩৫ ও গ্রামের ৫ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৪ ও গ্রামের ৪ টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৩৪ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩০ ও গ্রামের ৭ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪৩ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ টিসহ ৫৫ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯ টি নমুনায় গ্রামের ২ টিসহ ১১ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৫ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৮৭ টি নমুনায় শহরের ৩৩ ও গ্রামের ৯ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রামের ২৩ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের দু’টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সিভাসু’তে ২৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৮ দশমিক ১৬, চমেকে ৩৩ দশমিক ৩৩, চবি’তে ৪৮ দশমিক ১৯, এন্টিজেন টেস্টে ৩৬ দশমিক ৭০, আরটিআরএলে ৫১ দশমিক ৪৩, শেভরনে ১১ দশমিক ০৮, ইম্পেরিয়ালে ৩৮ দশমিক ৪৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৮ দশমিক ২০, মেডিকেল সেন্টারে ৪৬ দশমিক ৮৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৮ দশমিক ২৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ফেনীতে মুহুরী বাঁধ ভাঙ্গনে লোকালয় প্লাবিত

কুমিল্লার বরুড়ায় সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে কচুর ফুল