ভিতরে

ইউরো ২০২০: ইতিহাস স্পেনের পক্ষে থাকলেও সুইজারল্যান্ড আবারো অঘটন ঘটাতে চায়

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে বিদায় করে দিয়ে ৬৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বড় কোন টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। শুক্রবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষেও একই পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করবে সুইসরা। যদিও ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে স্পেনের পক্ষেই। 
ভøাদিমির পেটকোভিচের ফ্রান্সের বিপক্ষে দল দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ ১০ মিনিটে দুই গোল করে দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হবার পর অতিরিক্ত সময়ে আর কোন গোল হয়নি। টাইব্রেকারে সুইসরা সবকটি শটে সফল হলেও ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পের মিসে ফ্রান্সের কপাল পুড়ে। 
এখন সুইসদের সামনে স্পেনের কঠিন বাঁধা। গ্রুপ পর্বে ধীর গতিতে শুরু করার পরেও গত দুই ম্যাচে ১০ গোল করে স্প্যানিশরা রয়েছে অন্যরকম আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। আলভারো মোরাতার গোলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ১৬‘র ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে ৫-৩ ব্যবধানে জয়ী হয়ে শেষ আটে পৌঁছে স্পেন। কিন্তু রেকর্ড চতুর্থবারের মত ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিততে হলে স্পেনকে গ্রুপ পর্বের ভুলগুলো অবশ্যই শোধরাতে হবে। গ্রুপ পর্বে বাজে পারফরমেন্সের কারনে জুভেন্টাসের তারকা ফরোয়ার্ড মোরাতা ও তার পরিবারকে সেভিয়ায় সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। 
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য স্পেনের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। ২২ বারের মোকাবেলায় স্প্যানিশরা মাত্র একবার পরাজিত হয়েছে। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সুইসদের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ঐ দলের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এবারের ইউরো স্কোয়াডে টিকে রয়েছেন অধিনায়ক সার্জিও বাসুকয়েটস। এছাড়াও ২০১২ ইউরো শিরোপা জয়ী দলের দুই খেলোয়াড় হিসেবে বাসকুয়েটসের সাথে আরো রয়েছেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডার জোর্দি আলবা। 
ইতালিকে ফাইনালে ৪-০ গোলে পরাজিত করে পরপর দ্বিতীয়বারের মত ২০১২ আসরের ইউরোপীয়ান শিরোপা পাবার পর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয়টি ছিল নক আউট পর্বে স্পেনের প্রথম জয়। স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সাইমন বলেছেন,  ‘কোয়ার্টার ফাইনালের সাফল্য আমাদের উপর নির্ভর করছে, প্রতিপক্ষের উপর নয়। প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড না ইউক্রেন সেটা কোন বিষয় নয়। আমরা এখানে এসেছি নিজেদের সেরাটা দিতে এবং সেরা দলগুলোকে পরাজিত করতে।’
এ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের এই গোলরক্ষক ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেড্রির একটি ব্যাক পাস ধরতে গিয়ে গোল হজম করে বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অতিরিক্ত সময়ে দারুন কিছু সেভ করে দলকে রক্ষা করেছেন। গত নভেম্বরে স্পেনের হয়ে অভিষেক হওয়া এই গোলরক্ষক বলেছেন, ‘বিষয়টা একেবারেই অস্বাভাবিক ছিল। গোলটি আমি এ পর্যন্ত ছয় থেকে সাতবার রিপ্লে দেখেছি। এখন আমার এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। রোদ আমার কোন অসুবিধা করেনি, বলটি বাজেভাবে বাউন্সও করেনি। আমি মনে করেছিলাম পা দিয়ে সহজেই আটকে দিতে পারবো। কিন্তু তা হয়নি। এটা একটি দূর্ঘটনা।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচটি ছিল ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে সুইজারল্যান্ডের প্রথম জয়। সর্বশেষ ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড বড় কোন টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু শেষ আটের ঐ ম্যাচে অস্ট্রিয়ার কাছে ৭-৫ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই কোন ম্যাচের সর্বোচ্চ গোল। প্রায় অর্ধশতক পাড়ি দিয়ে সুইজারল্যান্ড এখন প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ২০১৪ সালে নিয়োগ পাওয়া কোচ পেটকোভিচের অধীনে দারুন এক আত্মবিশ্বাস নিয়ে স্পেনের মোকাবেলা করতে নামছে সুইসরা। যদিও নিষেধাজ্ঞার কারনে দলে থাকছেন না অধিনায়ক গ্রানিত জাকা।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ফুটবল-কোপা : কোয়ার্টার ফাইনালে কাল পরস্পরের মুখোমুখি পেরু ও প্যারাগুয়ে

ক্রিকইনফোর মতে, ‘বাজে আচরণের রাজা’ সাকিব