ভিতরে

করোনায় চট্টগ্রামে ১০ রোগীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি জেলায় একদিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময়ে নতুন ৩৯৯ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।  
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, মঙ্গলবার নগরীর আটটি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্ট এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৩৯৯ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের ২৮৪ এবং ১২ উপজেলার ১১৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭২৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪৫ হাজার ৮৬৭ ও গ্রামের ১২ হাজার ৮৫৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৩২, সীতাকু-ে ২৪, রাউজানে ২০, মিরসরাইয়ে ১৬, আনোয়ারায় ৯, হাটহাজারী ও বাঁশখালীতে ৩ জন করে, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ ও লোহাগাড়ায় ২ জন এবং বোয়ালখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। 
গতকাল করোনায় শহরের ৪ জন ও গ্রামের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৭০১ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৭৪ ও গ্রামের ২২৭ জন। সুস্থ্যতার সনদ দেয়া হয় ১৫১ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৯ হাজার ৩২৮ জনে। এদের ৬ হাজার ৫০১ জন হাসপাতালে ও ৪২ হাজার ৮২৭ জন বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১৬৭ জন। ছাড়পত্র নেন ১০২ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৬৫ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৭২টি ও গ্রামের ৬১টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৪৯ ও গ্রামের ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৪ জনের নমুনায় শহরের ২৮ ও গ্রামের ২৪ জন করোনা শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ২৯টিতে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। বিভিন্ন বুথে ১৩৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৪ জনসহ ৩০ জনকে পজিটিভ বলে জানানো হয়। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একজনসহ ১৬ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১১ জনের নমুনায় গ্রামের ৩ জনসহ ৪৫ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৭ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ জনসহ ২৩ জন এবং মেডিকেল সেন্টারে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ জন করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামের ১৩৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টি ছাড়া সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩২ দশমিক ০৫ শতাংশ, চমেকে ৩২ দশমিক শূন্য ৮২, চবিতে ৩৮ দশমিক ৮০, এন্টিজেন টেস্টে ২২ দশমিক ২২, আরটিআরএলে ৪৩ দশক ৯৪, শেভরনে ১৩ দশমিক ৯১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪০ দশমিক ৫৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৮ দশমিক ৯৩ এবং মেডিকেল সেন্টারে ৪৫ দশমিক ৪৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন যুব সমাজের সামনে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে

হাতিরঝিলের সৌন্দর্য রক্ষায় ১০ দফা নির্দেশনা হাইকোর্টের