ভিতরে

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন ১,০১,০৯,২২৭ ও সিনোফার্মের ৬০,৫৬৫ জন

দেশে এ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ২২৭ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৬০ হাজার ৫৬৫ জন। 
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার ২০১ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬০ হাজার ২৬ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ২১২ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১৩৬ এবং নারী ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত সারাদেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬০ হাজার ৫৬৫ জন। এদের মধ্যে ২৬ হাজার ৩ জন পুরুষ এবং ৩৪ হাজার ৫৬২ জন নারী রয়েছেন।  
সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে ১১ লাখ। এই টিকা দুই ডোজ করে সাড়ে ৫ লাখ মানুষকে দেয়া যাবে।
এছাড়া আগামীকাল থেকে ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ২১ জুন থেকে এই টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। ঢাকার ৩টি হাসপাতালে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রথম ডোজ দেয়া হয়। হাসপাতালগুলো হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এই টিকা নিয়েছেন ২৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ ও নারী ১০২ জন। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে ৮৪, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল  ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৭৮ জন করে। 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ১ হাজার ৩৪৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯৩৪ এবং নারী ৪০৯ জন। 
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ লাখ ১৮ হাজার ২৬২ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৯ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন। 
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৪ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৯ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৩ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৯৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রাশিয়ার মালবাহী নভোযান উৎক্ষেপণ

ভোলায় ৮শ’ কৃষকের মাঝে সার বীজ বিতরণ