ভিতরে

সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ পেলো ১৪ বিনিয়োগকারি প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনাকারি সংস্থা সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল ১৪টি বিনিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। পাশাপাশি জাপান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের (জেডিআই) সাথে ‘ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান’ চুক্তি সই করেছে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল ।
মঙ্গলবার ঢাকায় বেজার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৫ একর,কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ ৮ একর, ডায়নামিক ড্রেজিং ২ একর, নিট এশিয়া লিমিটেড ৮ একর, এমকে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ একর, রাতুল ফেব্রিক্স ৫ একর, অ্যাক্টিভ কম্পোজিট মিলস ২ একর, রাইজিং হোল্ডিংস ১০ একর, রাইজিং স্পিনিং মিলস ৫ একর, যশোর ফিড ১৬ একর, ম্যারিনা প্রোপার্টি (বিডি) ২১ একর, টেক্সট টাউন ৫ একর, এস্কোয়ার এক্সেসোরিজ ১২ একর এবং এস্কোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডকে ৭ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেডিআই সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রকৌশলগত সহায়তা দিবে।
অনুষ্ঠানে পবন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ করছে বেজা। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আমরা বদ্ধপরিকর। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে পবন চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারিখাতে ব্যাপক শিল্পায়নের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বেজা সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্ধারে অবস্থিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চল সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন করে দিবে। সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সফলতা শিল্পায়ন বিকাশের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, বেজা ২০১৮ সালে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন লিমিটেডকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করে। ৯ প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তি উদ্যোক্তা যৌথভাবে এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছেন।
১ হাজার ৩৬ একর জায়গাজুড়ে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৩৭’শ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে এবং পর্যায়ক্রমে ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন প্রথমবারের মত জমি বরাদ্দ করলো।  
সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোনের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী জানান, সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কাগজ,আসবাবপত্র আরও বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব আসছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

যুক্তরাজ্যের সেনা প্রধান করোনা পজেটিভ : প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক কমান্ডাররা কোয়ারান্টাইনে

পোশাক শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে বিইউএফটি ও ইপিবির চুক্তি সই