ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৫৮ হাজার ছাড়ালো

চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হলে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ৩৬৫ জনে। এ সময় করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল সোমবার ১ হাজার ৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৩৬৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ২২৬ জন ও ১১ উপজেলার ১৪২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকু-ে ৩৩, ফটিকছড়িতে ২৮, মিরসরাইয়ে ২১, রাউজানে ১৯, হাটহাজারীতে ১৫, বোয়ালখালীতে ৭, রাঙ্গুনিয়ায় ৬, পটিয়ায় ৫, সাতাকানিয়ায় ৪, বাঁশখালীতে ৩ জন এবং আনোয়ারায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৫৮ হাজার ৩৬৫ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫ হাজার ৫৮৩ ও গ্রামের ১২ হাজার ৭৮২ জন।
গতকাল করোনায় শহরের এক ও গ্রামের ২ রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ৬৯১ জন। এতে শহরের ৪৭০ ও গ্রামের ২২১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩৯ জন। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ১৭৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৪৭০ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪২ হাজার ৭০৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২১৭ ও ছাড়পত্র নেন ৮৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ জন।
উল্লেখ্য, জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গতকাল এ মাসের সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ২৭ জুন ১ হাজার ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ৩২৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার (২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ) রেকর্ড হয়। এ মাসে সবচেয়ে কম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ জুন। সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন। গতকাল ৩ জনের মৃত্যু হলে এ মাসের প্রথম ২৮ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৬ ও গ্রামের ৭০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮২টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩০টি ও গ্রামের ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২৩ ও গ্রামের ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৬ ও গ্রামের ১৪ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৬৩টি নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৫টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৭১ জনের মধ্যে ১৭ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহকারী নগরীর কয়েকটি কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৬টিসহ ৩৪টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯৫টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৩৪টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৩টিসহ ১৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৪৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৪২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এবং ২ জনের পজিটিভ আসে।  
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ২২ দশমিক ০৯ শতাংশ, সিভাসু’তে ২০ দশমিক ৩৩, চমেকে ২৪ দশমিক ১৬, চবি’তে ৪৭ দশমিক ০৬, আরটিআরএলে ৩৯ দশমিক ৬৮, এন্টিজেন টেস্টে ২৩ দশমিক ৯৪, শেভরনে ১৫ দশমিক ১৮, ইম্পেরিয়ালে ৩৫ দশমিক ৭৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫ দশমিক ৪৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩ দশমিক ২৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে সব ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ

ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল