ভিতরে

টোকিও অলিম্পিকে খেলছেন না সেরেনা

আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য টোকিও অলিম্পিকে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস।  বিশ্বের আরেক শীর্ষ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন মার্কিন তারকা সেরেনা। 
৩৯ বছর বয়সী সেরেনা প্রাক উইম্বলডন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি আসলে এই মুহূর্তে অলিম্পিকে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।‘
যদিও সেরেনা তার না খেলার সিদ্ধান্তের কারন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে অলিম্পিকে যেহেতু বিদেশী কোন পর্যটক কিংবা দর্শকের উপস্থিতির অনুমতি নেই সে কারনেই পরিবার তার সাথে যেতে পারবে না বিধায় সেরেনা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে মেয়ে এ্যালেক্সি অলিম্পিয়াকে রেখে সেরেনা টোকিওতে যেতে চাইছেন না। ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক মহামারীর কারনে অলিম্পিক গেমস এক বছর পিছিয়ে জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিশেষ বিধিনিষেধে অনেকেই অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন। 
সেরেনা বলেন, ‘অলিম্পিকের ব্যপারে সিদ্ধান্তের পিছনে অনেকগুলো কারন রয়েছে। আজ আমি সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই। হতে পারে অন্য কোনদিন হয়ত এ ব্যপারে কথা বলবো। আমি সত্যিই দু:খিত। কখনই ভাবিনি গেমসে খেলতে পারবো না। অলিম্পিকে আমার অতীত অভিজ্ঞতা খুবই বাল। সবসময়ই এখানে খেলার পরিকল্পনা আমার মধ্যে থাকে।’
বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসের সাথে অলিম্পিকের ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেরেনা। দু‘বোনই সিঙ্গেলসে একটি করে স্বর্ন পদকের পাশাপাশি ডাবলসেও জিতেছেন তিনটি স্বর্ণ পদক। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে মিক্সড ডাবলসে রৌপ্য পদক জয় করে এই তালিকায় ভেনাস কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। 
মার্গারেট কোর্টের সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা রেকর্ডকে স্পর্শ করতে উইম্বলডনে কোর্টে নামছেন সেরেনা। ২০১২ সালে লন্ডস গেমসে সেন্টার কোর্টে তিনি স্বর্ণ জয় করেছিলেন। এই কোর্টেই তিনি উইম্বলডন সিঙ্গেলসের সপ্তম শিরোপা জয় করেছিলেন। ২০০০ সালে সিডনিতে , ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে ও ২০১২ সালে লন্ডনে ভেনাসকে সাথে নিয়ে ডাবলসে স্বর্ণ জয় করেছিলেন। 
মাসের শুরুতে শারিরীক সমস্যার কারনে উইম্বলডন ও অলিম্পিকে না খেলার কথা জানিয়েছিলেন নাদাল। স্প্যানিশ এই তারকা দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরার ও নোভাক জকোভিচ এখনো পর্যন্ত টোকিওতে খেলার ব্যপারে সিদ্ধান্ত জানাননি। ৩৯ বছর বয়সী ফেদেরার গতকাল জানিয়েছেন উইম্বলডনের উপর নির্ভর করছে তিনি অলিম্পিকে যাবেন কিনা। দুইবারের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী ব্রিটিশ তারকা এন্ডি মারে অবশ্য টোকিওতে যাবার ব্যপারে মত দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ব্রিটেনের অলিম্পিক স্কোয়াডে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
সেরেনা ও নাদাল ছাড়াও অস্ট্রিয়ান ডোমিনিক থিয়েমও টোকিওতে খেলছেন না। ২৭ বছর বয়সী এই ইউএস ওপেন বিজয়ী কব্জির ইনজুরির কারনে উইম্বলডন ও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও জিততে চায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা

করোনাকালে তিন ফরমেটে পৃথক দলের পক্ষে দ্রাবিড়