ভিতরে

জয়পুরহাটে হাতিতে চড়ে বিয়ে

শখের বসে পুরানো ঐতিহ্য ফিরে আনার চেষ্টায় হাতির পিঠে চড়ে কনের বাড়ি বিয়ে করতে গেলেন সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের বাঁশকাটা গ্রামের মোমিন হোসেন (২৫)। হাতির পিঠে বিয়ে দেখার জন্য এলাকায় উৎসুক মানুষের মধ্যে যেন আনন্দের শেষ নাই।     
বাঁশকাটা গ্রামের বেলার হোসেনের ছেলে  মোমিন হোসেন পেশায় একজন মিষ্টি বিক্রেতা হলেও শখ ছিল হাতির পিঠে বিয়ে করতে যাবেন। শখ বলে কথা, ৩০০০ টাকায়  ভাড়া করা হাতির পিঠে চড়ে  মাথায় পাগড়ি পড়ে রোববার দুপুরে গেলেন মেয়ে শোভা আকতারের বাড়িতে একই গ্রামের অপর প্রান্তে। ছেলে ও মেয়র বাড়ির দূরত্ব অর্ধ কিলোমিটার। বিয়েতে এক/দেড়শ লোকের সমাগম হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের আয়োজন করা হয় বলে জানান, বর মোমিন হোসেন।  ছোট বেলা থেকেই হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করবেন এমন শখের কথা জানান মোমিন। ছেলের হাতির পিঠে বিয়ে দিতে পারায় খুশি বলে জানান, পিতা বেলাল হোসেন। হাতির পিঠে চড়ে বর বেশে মোমিন হোসেনের  আগমন দেখে খুশি  কনে শোভা আকতার (২০)। কনে শোভা আকতারের  বিয়েতে হাতির পিঠে বর আসছে এতে পরিবারের সদস্যরাও  খুশি বলে জানান,  কনের  পিতা মাসুদ রানা কাজী। এলাকার ইউপি সদস্য হায়দার আলী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান সারোয়ার হোসেন স্বাধীন জানান, হাতির পিঠে বিয়ে হচ্ছে এদেশের পুরানো ঐতিহ্য। এরকম হাতির পিঠে বিয়ের কথা অনেকেই শুনলেও দেখার ভাগ্য  হয়নি।  এক সময় ধনাঢ্য পরিবারে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ের প্রচলন ছিল। বর্তমানে আধুনিকতার যুগে তেমন চোখে পড়েনা।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

সিভাসু ক্যাম্পাসে জিরাফের কঙ্কাল উদ্বোধন

শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারের সুপারিশ