ভিতরে

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতাসহ তিনজন গ্রেফতার

রাজধানীর রামপুরা  থেকে নিষিদ্ধ  ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি  সেলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার, মারুফ  চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ও  মো: ফরজুল মোরসালিন।
শনিবার  রাতে রামপুরা থানা এলাকা  থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসির  স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া  সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি)  মো: আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, নিষিদ্ধ  ঘোষিত সংগঠনের কয়েকজন সদস্য রামপুরা থানা এলাকায় নাশকতামূলক  কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছে এমন গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পায় স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ। এই তথ্যের ভিত্তিতে  স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের একটি টিম অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের শীর্ষস্থানীয় এক  নেতাসহ তিনজনকে  গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন,  গ্রেফতারকৃত সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছে।  সে ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে  যোগ  দেয় এবং ২০১৬ সালে সে একটি মডিউল বা  সেলের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। মো: ফয়জুল  মোরসালিন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে একটি  বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন করেছে।  সে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইনে কাজ করতো।  সে ২০১৬ সালে আনসার আল ইসলামে  যোগ  দেয়।গ্রেফতারকৃত মারুফ  চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি  থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে চাকরি করতো।  সে ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে  যোগ  দেয়। সে ইব্রাহীমের  সেল গ্রুপের সদস্য ছিল।
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে একই মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প¬াটফর্মে প্রচারনা চালিয়ে সংগঠনের জন্য নতুন সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ করে। 
এছাড়াও তাদের সংগঠনের সদস্যরা জনকল্যাণমূলক কাজ বা চ্যারিটির নামে  দেশ ও বিদেশ  থেকে সাদকাহ ও যাকাত সংগ্রহ করার আড়ালে জঙ্গি অর্থায়ন করতো।
তিনি আরো বলেন, তিন থেকে পাচঁজনের সমন্বয়ে গঠিত গোপন  সেল বা মডিউলের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালায়। এই  গোপন সেল বা মডিউলের সদস্যরা ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে রিক্রুট হয়। ফলে ভিন্ন ভিন্ন  সেল বা মডিউলের সদস্যরা  কেউ কাউকে চিনতে বা জানতে পারে না।  গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপ্টেড অ্যাপস এর মাধ্যমে নিজেরা  যোগাযোগ করত। এ ব্যাপারে রামপুরা থানায় একটি  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

সিনহা হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

বঙ্গবন্ধুর দর্শনের আলোকে আইন প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব : আইনমন্ত্রী