ভিতরে

করোনার মধ্যে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে : টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোক্তারা যেন ন্যায্য মূল্যে মানসস্মত পণ্য ও সেবা পান, সেজন্য সরকার ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় তৎপর রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা কার্যক্রম আরও বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ভোক্তাদের আরও সচেতন হতে হবে। দেশের জনগণকে ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান তিনি।
রোববার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্যাব আয়োজিত ‘ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী  এসব কথা বলেন।
ক্যাবের চেয়ারপার্সন গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের (সিসিবি) চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম, ক্যাব সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূইয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগি অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ভোক্তারা যেন পণ্য কিনে না ঠকে, সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজারদর তদারকি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তারা অভিযান পরিচালনা করছে। ভোক্তারা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য পান, সেজন্য ব্যবসায়িদের সাথেও আমরা নিয়মিত বসছি।
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করতে সরকার বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে চায়। আমরা কোন ধরণের মনোপলি বাজার তৈরি হতে দিব না। তিনি বলেন, বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা থাকলে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যায়। কম টাকায় তখন ভোক্তারা বেশি পণ্য কিনতে পারেন।
টিপু মুনশি বলেন, ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন তৈরি হলেও এর কাজের বিস্তৃতি ঘটেছে ২০১৬/১৭ সালের দিকে। ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা আরও অনেক আইন করেছি। আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছি। তবে লক্ষ্য অর্জনে আরও সময় লাগবে। তিনি মনে করেন সরকারের একার পক্ষে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়, ক্যাবকে সরকারের এই কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও ক্যাব যদি একত্রে কাজ করে, তাহলে দেশবাসীর যে আশা সেটা পূরণ করা সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে গোলাম রহমান ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কনজুমারস এ্যাফেয়ার্স ও বিজনেস এ্যাফেয়ার্স নামে দু’টি আলাদা বিভাগ চালুর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এর ফলে ভোক্তা ছাড়াও যিনি ব্যবসা করছেন, উৎপাদক বা বিপণন পর্যায়ে সবারই স্বার্থ দেখা সরকারের জন্য সহজ হবে।
সেমিনারে বাবলু কুমার সাহা জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিকট এ পর্যন্ত অনলাইন কেনাকাটা সম্পৃক্ত বা ই-কমার্সের আওতায় ১৩ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে ১০ হাজার অভিযোগ ইতোমধ্যে নিস্পত্তি করা হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে শিক্ষাই হবে প্রধান হাতিয়ার : শিক্ষামন্ত্রী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা