ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৩০০ জনের শরীরে। সংক্রমণ হার ২২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শনিবার নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৩০০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০৪ জন এবং ১৪ উপজেলার ৯৯ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬৭০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫ হাজার ১৩০ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ৫৪০ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৯৯ জনের মধ্যে সীতাকু-ে ৩১ জন, মিরসরাইয়ে ২৫ জন, ফটিকছড়িতে ১১ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, হাটহাজারীতে ৫ জন, লোহাগাড়ায় ৪ জন, রাউজান ও পটিয়ায় ৩ জন করে, বোয়ালখালী ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, সাতকানিয়া এবং চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী ৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা একজন ও গ্রামের ৬ জন। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৬৮১ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৮ জন শহরের ও ২১৩ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ১৩১ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর  সংখ্যা ৪৮ হাজার ৯১৫ জনে উন্নীত হলো। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬ হাজার ৪২০ জন এবং ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন ৪২ হাজার ৪৯৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৪৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ১৫৪ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল মাসের সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় এ মাসের প্রথম ২৬ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ মাসে মৃত্যুশূন্য ছিল তিনদিন। গতকালই একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এর আগে ২৪ জুন সংক্রমিত চিহ্নিত হন ২৭৪ জন এবং সংক্রমণ হার চলতি প্রকোপের সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে কম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ জুন ৬০ জন। মাসের সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৫৫ জন ও গ্রামের ৪৯ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২২৩ জনের নমুনায় শহরের ৪১ ও গ্রামের ২৫ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নতুন করে করোনার নমুনা পরীক্ষায় যুক্ত আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ল্যাবে ২৭৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৬০ ও গ্রামের ৬ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। একই হাসপাতালের অপর ল্যাব রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৮ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়। এতে শহরের ৮ ও গ্রামের ৫ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ টিসহ ১৪ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৩ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৫ টি নমুনায় গ্রামের ৫ টিসহ ২৮ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৫২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় একটি ছাড়া বাকী সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে (সিভাসু), পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, চমেকে ২৯ দশমিক ৫৯, জেনারেল হাসপাতাল ল্যাবে ২৪,  আরটিআরএলে ৪৬ দশমিক ৪৩, শেভরনে ৯ দশমিক ৮৬, মা ও শিশুতে ৩০ দশমিক ৭৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করলো ইংল্যান্ড

৩৭ যাত্রীসহ থাইল্যান্ড থেকে বিশেষ বিমান ঢাকায়