ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

করোনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে ২১৬ ব্যক্তির শরীরে। সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২১৬ জনের মধ্যে শহরের ১৩৯ ও দশ  উপজেলার ৭৭ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৭ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৪ হাজার ৯২৬ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ৪৪৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু-ে সর্বোচ্চ ২১, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮, রাউজানে ১৩, মিরসরাই ও  বাঁশখালীতে ৮ জন করে, বোয়ালখালীতে ৩ জন, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে ২ জন করে, চন্দনাইশ ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের দু’জন মারা যান। তিনজনই পুরুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭৪ জন হয়েছে। এতে শহরের ৪৬৭ও গ্রামের ২০৭ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১২০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭৮৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৩৯৯ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪২ হাজার ৩৮৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে যুক্ত হন ৩৮ জন। ছাড়পত্র নেন ৪১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৪২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বাসস’কে বলেন, ‘সংক্রমণ হার যথেষ্ট বেড়ে গেছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন মারাও যাচ্ছেন কয়েক জন করে। কিন্তু সাধারনের মাঝে সচেতনতা বা ভীতি খুব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামাল দেয়া কঠিন হবে। তাই মানুষকে ঘরে রাখার কোনো বিকল্প আমাদের সামনে নেই।’
তিনি বলেন, ‘রোগী বাড়লেও এ বছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলমান রয়েছে। চিকিৎসা সক্ষমতা ও সরঞ্জামে আমরা গত বছরের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ। তাই রোগী বাড়লেও হাহাকার নেই কোথাও। তবে গতকালের সংক্রমণ হার আমাদের শংকিত করে তুলেছে। এ হার আর কিছুটা বাড়লে চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবা আবার বেসামাল হয়ে পড়বে।’
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সর্বোচ্চ ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৪৭ ও গ্রামের ২০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০৩টি নমুনায় শহরের ১৩ ও গ্রামের ১০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজনসহ ২৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৫ ও গ্রামের ৩১ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ৬টি ও গ্রামের ৪টিতে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৮টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ২৬টিতে, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২টি নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ৪টিতে এবং মেডিকেল সেন্টারে ৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৯১টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৬টির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। 
এদিন, নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল,পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিভাসু’তে ২২ দশমিক ৩৩, চমেকে ২৫ দশমিক ৮৪, চবি’তে ৫৪ দশমিক ৭৬, শেভরনে ৮ দশমিক ৬৯, ইম্পেরিয়ালে ২৪ দশমিক ০৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১ দশমিক ২৫, মেডিকেল সেন্টারে ৫৫ দশমিক ৫৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস কাল

নারী উদ্যোক্তাদের সফলতায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান ও উৎসাহ বাড়ছে