ভিতরে

সেনাবাহিনী প্রধানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা

নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।
তিনি আজ ঢাকাস্থ ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতির সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর তিনি বীর শহীদদের সম্মানে সালাম প্রদান করেন। এ সময় বিউগলের সুরে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল “গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। অতপর সেখানে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
পরে নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় “গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। সেনাবাহিনী প্রধান বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন। মোনাজাত শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ  গত বৃহস্পতিবার (২৪-০৬-২০২১) সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ ডিসেম্বর খুলনা শহরের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম শেখ মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন অধ্যাপক, সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৮০ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এক নাগাড়ে দীর্ঘ দুই যুগ একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হিসেবে খুলনাবাসীর কল্যাণে বিভিন্ন জনহিতকর কর্মকান্ডের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর খুলনাবাসী শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ তাঁর নামে ‘প্রফেসর রোকন উদ্দিন সড়ক’ এর নামকরণ করে।
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ৯ম দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। কমিশন পরবর্তী তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন এলাকায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান পূর্বক তাঁর সামরিক কর্মজীবন শুরু করেন। সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি সেনাসদরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। 
ব্যক্তিগত জীবনে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বেগম নুরজাহান আহমেদ দম্পতি দুই কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা-মাতা।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল সম্পাদক আসাদুজ্জামান

‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ যুবসমাজকে মানবহিতৈষী কাজে উদ্বুদ্ধ করবে : স্পিকার