ভিতরে

গাছ না কেটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল  হক বলেছেন, আর কোন গাছ না কেটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। 
তিনি আজ রাজধানীর গণপূর্ত মিলনায়তনে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ ও উদ্যানকে সবুজায়নের বিষয়ে উদ্ভিদবিদ, পরিবেশবিদ, স্থপতি,  প্রকৌশলী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আক্তার, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেল, স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি আসিফ আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক  ড.  মোহাম্মদ আলমুজাদ্দাদি আলফাসানি, প্রফেসর  ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূইয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক  ড. মোঃ হারুনুর রশিদ খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাখাওয়াত হোসাইন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক  এবং এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল  বাবু, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, দীপ্ত টেলিভিশনের সিইও ফুয়াদ চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মতামত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারের আলোচনার বিভিন্ন সুপারিশের আলোকে মন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও ঘটনাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতোমধ্যে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ, আধুনিক নগর উপযোগী সবুজের আবহে দৃষ্টিনন্দন ও আন্তর্জাতিকমানে গড়ে তোলা ও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সেমিনারে জানানো হয়, পাকিস্তানি শাসনবিরোধী ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য স্থাপন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন, ইন্দিরা মঞ্চ নির্মাণ, ওয়াটার বডি ও ফাউন্টেইন নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ীর কার পার্কিং, ৭টি ফুড কিয়স্ক  (মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের পৃথক টয়লেট ফ্যাসিলিটিসহ) ও শিশুপার্ক নির্মাণসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভূগর্ভস্থ কার পার্কিংয়ের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ওয়াটার ফাউন্টেন নির্মাণের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ৭টি ফুড কিয়স্ক, নারী, পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা টয়লেট ফ্যাসিলিটিসহ নির্মাণের ভৌত অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ, ওয়াকওয়ে নির্মাণের ভৌত অগ্রগতি ২৫ শতাংশ এবং মসজিদ নির্মাণের ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ হয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রী  বলেন,  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ একটি কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ এ প্রকল্প দেখতে আসবেন। যাদের মধ্য থেকে দুই হাজার দর্শনার্থী শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনা হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্যই স্বাধীনতা স্তম্ভ তৈরি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এর আগে এত বড় এলাকায় বিপুল মানুষের সমাগম হওয়ার স্থানে কোন টয়লেট ফ্যাসিলিটিজ এবং রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না। পরিবারসহ দর্শনার্থীবৃন্দ উদ্যানে যাতে ভ্রমণ করতে পারে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার পাশাপাশি নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিবেশে কয়েক ঘন্টা সময় কাটাতে পারে তার সকল ব্যবস্থা এখানে করা হচ্ছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

৪টি দপ্তর-সংস্থার সাথে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত

চতুর্থ ধাপে ২৯৭৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের সমন্বিত তালিকা প্রকাশ