ভিতরে

ফেসবুক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার এক

ফিশিং লিংক ব্যবহার ও ফেসবুক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো. মামুন মিয়া। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মামুনকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতারকৃত মামুন তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে পারদর্শী। তিনি নিজেই ফিশিং লিংক তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রেরণ করে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের তিনি টার্গেট করেন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ফিশিং লিংকে ভিকটিমরা ক্লিক করলে ফেসবুক ইন্টারফেস আসে। তখন ভিকটিমরা এ লিংকে প্রবেশ করার জন্য তাদের ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিলে মামুনের কাছে এ ফেসবুক একাউন্টের আইডি ও পাসওয়ার্ড চলে যায়। পরবর্তী সময়  তিনি এই আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করে, ভিকটিমের ফেসবুক আইডি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে। এরপর তিনি নিজেই এ ফেসবুক আইডি থেকে তার নিকট আত্মীয়ের নিকট হতে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়। এছাড়া ভিকটিমের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। গ্রেফতারকৃত মামুন টাকার বিনিময়ে ভিকটিমদের ফেসবুক একাউন্ট ফেরত দিতো অন্যথায় ফেসবুক একাউন্ট তার দখলে রাখতো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ফেসবুক হ্যাকার বিভিন্ন ভিকটিমের নিকট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগেও মামুন মিয়া ফেসবুক হ্যাক করার অপরাধে একবার  গ্রেফতার হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ফেসবুক আইডি হ্যাক প্রতিরোধে ডিবির এই কর্মকর্তা সাতটি নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন।  এগুলো হলো, যাচাই না করে কোন ধরনের লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন লিংকে ক্লিক করার পর  কোন ফেসবুক পেজে বা অন্য কোথাও রিডাইরেক্ট হলে লগইনের জন্য ফেসবুক আইডি অথবা পাসওয়ার্ড প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ফেসবুক আইডিতে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সাথে একটি ই-মেইল এড্রেস যোগ করে রাখতে হবে। Authorized logins  অপশন চেক করতে হবে।
ফেসবুক আইডি বা  মেসেঞ্জারে একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্য ছবি ভিডিও কথপোকথন রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মোবাইলে আসা নোটিফিকেশনে Yes / No  ক্লিক করার পূর্বে ভালোভাবে পড়ে দেখতে হবে।  ফেসবুকে তিন থেকে পাঁচ জন ট্রাস্টেড কনট্রাক্ট যোগ করতে হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

হাইকোর্টে দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালকের জামিন শুনানি আগামীকাল

আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত