ভিতরে

অভিনেত্রী পরীমনির দায়েরকৃত মামলায় নাসির-অমি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির করা মামলায় ব্যবসায়ি নাসির উদ্দিন এবং তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজীব হাসান শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে ১৫ জুন সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
১৪ জুন  ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।
পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে। এরপর রাজধানী বিমানবন্দর থানার মাদক মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে পরীমনি বলেন, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর তোমরা নামলে নামতে পার।’
এজাহারে পরীমনি আরও বলেন, ‘তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদ্যপানের জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে তিনি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।’
এজাহারে বলা হয়, ‘এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  সে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর  ও জখম করা হয়।’
পরীমনি বলেন, ‘আমি প্রথমে পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি টান মেরে ফেলে দেয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আসামিকে সহযোগিতা করেন। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই নম্বর আসামি অমি পরিকল্পিতভাবে আমাকে বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায়। সে অজ্ঞাতনামা চারজন আসামি ও নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমি আমার গাড়িতে প্রায় অচেতন অবস্থায় অপর সঙ্গীদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি।’
পরীমনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।’
১৩ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে বিচার চান পরীমনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাতে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

নর্দমার পানি সরাসরি খালে নিতে নকশা প্রণয়ন করা হবে : মেয়র তাপস

বঙ্গবন্ধুর গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের বর্তমান উন্নয়ন : স্পিকার