ভিতরে

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে ১৭ কোটি মানুষ : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারিকালে ই-ফাইলের মাধ্যমে গত ১৫ মাসেই প্রায় ৩৮ লক্ষ ফাইল নিষ্পন্ন হয়েছে। এতে লাল ফিতার দূরত্ব কমার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ন্যাশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বর থেকে বিগত ৪ বছরে মোট ৩ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিগত ১৫ মাসে আইসিটি বিভাগের ডক্টরস পুলের মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। 
জুনাইদ আহমেদ পলক আজ নাটোর জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ, ইনক’র অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক’র সাবেক প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক’র সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে ৭৫’র পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কখনোই দেশের নাগরিকদের জন্য একটি কলসেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। দেশের মানুষের সেবার জন্য তারা কখনো ভাল কিছু চিন্তা করেননি।  
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশে জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জরুরি প্রয়োজনে ৯১১ এ কল করে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়, তেমনি আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষ ৯৯৯ ফোন করলে দ্রুত পুলিশ ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায়। মাত্র চার বছরে  প্রায় ২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ এ সেবা পেয়েছে।
পলক বলেন, আমরা ১২ বছর আগেও নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, মেধা, সাহসিকতা ও সততা দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং প্রশাসনিক প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে শপিং করতে পারছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যে কোন পণ্য, যে কোন সেবা ঘরে বসেই নাগরিকদেরকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। 
তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে বিচারিক মামলা ভার্চুয়াল কোর্টে সম্পাদন হয়েছে যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার জামিন দেয়া হয়েছে। 
মহামারিকালে সরকার প্রায় দেড় কোটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮৬ লক্ষ কর্মহীন পরিবারকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সঠিক ব্যক্তিদেরকে আড়াই হাজার করে টাকা পাঠানো হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কোভিড: ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, চারপাশের জেলাগুলোতে কাল থেকে লকডাউন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মঈনুদ্দিন মন্ডলের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল