ভিতরে

করোনায় চট্টগ্রামে ৪ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন ১৯০ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। একই দিনে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ৫৬ হাজার ও আরোগ্যলাভকারী ৪৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়।  
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর দশটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৯৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১৯০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২৮ জন ও বারো উপজেলার ৬২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ২১, হাটহাজারীতে ১৫, সীতাকু-ে ৯, মিরসরাই ও রাউজানে ৪ জন করে, বাঁশখালীতে ৩ জন এবং লোহাগাড়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৬ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৪ হাজার ২২৮ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ৯৪৩ জন। 
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন মারা যান। এদের মধ্যে ২ জন শহরের এবং ২ জন গ্রামের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬১ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৪৬২ জন ও গ্রামের ১৯৯ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৮৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ২৭০ জন। বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪১ হাজার ৭৮০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩২ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৩৫ জন।
এদিকে, এবার করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা এক হাজার পূর্ণ হয় সাত দিনে। এর আগে ১৩ জুন আট দিনে এক হাজার পূর্ণ হয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২৮ মে ও ৫ জুন দু’বারই ৯ দিনে এক হাজার পূর্ণ হয়ে মোট আক্রান্ত যথাক্রমে ৫৩ ও ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ১৬ দিনে ১ হাজার পূর্ণ হয়ে ৩৩ হাজার অতিক্রম করে ৩১ জানুয়ারি। সর্বনি¤œ দুই দিনে এক হাজার পূর্ণ হয় ১৪ এপ্রিল। ঐদিন মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার অতিক্রম করে। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭ ও গ্রামের ১০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনসহ ২১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৯ ও গ্রামের ৩০ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৭টি নমুনায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ৬টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২ জনসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪৮টি নমুনায় গ্রামের ৪টিসহ ২৫টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। অপর সরকারি ল্যাব পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৪টিসহ ১৯টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ৯টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৪৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া বাকী সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৪৫, চবি’তে ৩১ দশমিক ০১, সিভাসু’তে ১৮ দশমিক ৮০, চমেকে ২০ দশমিক ২৪, আরটিআরএলে ৫২ দশমিক ০৮, ইম্পেরিয়ালে ২৪ দশমিক ০৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৬ দশমিক ২৫, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ দশকি ৫৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩০ দশমিক ৭৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ডিজিটাল টকিং বুকস : ‘পড়বে সবাই, শুনবে সবাই, বাদ যাবে না কেউ’

ভার্চুয়াল শুনানিতে আপিল বিভাগে ১০৭৬২ মামলা নিস্পত্তি