ভিতরে

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় দন্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামির জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। 
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ২৬ মে ওই সাত আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। সে অনুসারে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে ৩০ মে রাষ্ট্রপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
এ সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশ স্থগিত থাকবে।
এ আদেশ অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ ৭ জনকে গত ২৫ মে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করতেও বলা হয়েছে। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন।
ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রাকিবুরের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিল করার আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনে একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং অন্য আসামিদের বিভিন্ন দ- দিয়ে রায় দেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে একটি সংসদীয় আসন ও ৬টি ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছে : সেতুমন্ত্রী