ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি কাল

চট্টগ্রামে টানা ১০ দিন পর করোনায় গতকাল কারো মৃতু হয়নি। এ সময়ে ১৭২ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন। নতুন ১৫৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৯৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৫৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৬ জন ও দশ উপজেলার ৫২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে ১৭ জন, হাটহাজারীতে ১৬ জন, রাউজানে ৬ জন, বাঁশখালীতে ৪ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, মিরসরাইয়ে ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫৫ হাজার ১৯০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৬৩১ জন শহরের ও ১১ হাজার ৫৫৯ জন গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৬৪৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৫৩ জন ও গ্রামের ১৯২ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৭২ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৮১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ১৩৮ জন, ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪০ হাজার ৮৪৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ৫৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জনসহ ১১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৯ ও গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৬ ও গ্রামের ৩৭ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৫ টি নমুনা পরীক্ষায় সীতাকু-ের একটিসহ ৯ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ টিসহ ৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৯ টি নমুনায় হাটহাজারীর একটিসহ ১৩ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ টি নমুনার মধ্যে সন্দ্বীপের একটিসহ ৯ টিতে, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে রাঙ্গুনিয়ার একটিসহ ৬টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১২ টি নমুনায় শহরের ৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৪৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় বাঁশখালীর ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং বাকীগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, চমেকে ১২ দশমিক ৮৩, চবিতে ৪৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, আরটিআরএলে ৩৬, শেভরনে ৬ দশমিক ৩৫, ইম্পেরিয়ালে ১৬ দশমিক ৪৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ দশমিক ৬৮, এপিকে ২৪ ও মেডিকেল সেন্টারে ২৫ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ সংক্রমণ রেকর্ড হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভারতকে টেনন্ডুলকারের পরামর্শ

অধঃস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১২৯২৯৩ জামিন আবেদন নিষ্পত্তি